সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার হয়েছেন। এবার আদালত আবমাননার দায়ে শাস্তির মুখেও পড়তে হবে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিএস কারনানকে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আদালত অবমাননার দায়ে সিএস কারনানের ছ’মাসের কারাদণ্ডের যে সাজা হয়েছিল, তা বহাল থাকছে।
[কাশ্মীরে জঙ্গি অভিযানে বড়সড় সাফল্য সেনার, নিকেশ ২ হিজবুল সদস্য]
শীর্ষ আদালতকে আবমাননার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিএস কারনানকে ছ’মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ৯ মে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। কিন্তু যাঁরা তাঁকে শাস্তি দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই পালটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন কারনান। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে রাজারহাটের বাড়ি থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল পুলিশকে। এরপরই গা ঢাকা দেন কারনান। শোনা গিয়েছিল, চেন্নাইতে রয়েছেন তিনি। অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার খবরও এসেছিল। তিন রাজ্যের পুলিশ হন্যে হয়েও কারনানের খোঁজ পায়নি। একাধিক জায়গা পালটাতে থাকেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর থেকে অবসপ্রাপ্ত বিচারপতি সিএস কারনানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গ্রেপ্তারির পর সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কারনান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আদালত আবমাননার দায়ে ছ’মাসের কারাদণ্ডের সাজা বহাল থাকছে। বস্তুত, এর আগে ফেরার থাকার সময় নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কারনান। কিন্তু সে আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।
[ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা, কাজ হারালেন আমলা]
প্রসঙ্গত, সিএস কারনানের বিরুদ্ধে যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, তখন তিনি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে দেশের কোনও কর্মরত বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়নি। গ্রেপ্তারির হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি এবং ফেরার অবস্থাতেই অবসর নেন। এই ঘটনাও নজিরবিহীন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.