সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ডিসেম্বর মাসে নমাজ (Namaj) পাঠে বাধাদানের অভিযোগ ওঠে হরিয়ানার (Haryana) গুরুগ্রামে। এই ঘটনায় হরিয়ানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মামলাটির দ্রুত শুনানি হবে আশ্বাস দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বর্তমান মামলাটি উঠেছে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (NV Ramana), বিচারপতি এএস বোপান্না (AS Bopanna) ও বিচারপতি হিমা কোহলির (Hima Kohli) ডিভিশন বেঞ্চে। হরিয়ানার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি করেছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ আদিব (Mohammad Adeeb)। মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও শুক্রবারের নমাজের বাধা দেওয়ার ঘটনা কেন রুখতে পারল না হরিয়ানা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একটি মামলায় হিংসামূলক অপরাধ দমনে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং (Indira Jaysing) বলেন, হিংসামূলক অপরাধ দমনে ব্যর্থ হয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে অবমাননা করেছে হরিয়ানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
এদিন ইন্দিরা জয়সিং আদালতকে বলেন, “আমরা শুধুমাত্র সংবাদপত্রের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আবেদন জানাচ্ছি না। আমরা এই বিষয়ে এফআইআর দায়েরর অনুমতিও চাইছি না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টই এই ধরনের ঘটনা রুখতে পদক্ষেপ করার কথা বলেছিল।” একথা শোনা মাত্র প্রধান বিচারপতি আশ্বাস দেন, “আমি দ্রুত এই মামলা উপযুক্ত বেঞ্চে পাঠাব।”
প্রাক্তন সাংসদের মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে হরিয়ানার মুখ্যসচিব ও হরিয়ানা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের বিরুদ্ধে। উল্লেখ করা হয়েছে গত বছরের ৩ ডিসেম্বরের ঘটনার কথা। গুরুগ্রামের একাধিক জায়গায় নমাজ পাঠে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এদিন মামলার আবেদনকারী জানান, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ওই ঘটনার পর কয়েকজনকে আটক করেছিল। তবে সেই দিনই তাঁরা ছাড়া পেয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার গুরুগ্রামে রাস্তায় নমাজ পড়া নিয়ে মন্তব্য করে সম্প্রতি বিতর্ক বাড়ান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার (Manohar Lal Khattar)। প্রকাশ্যে রাস্তা আটকে নমাজ (Namaz) পড়া সহ্য করা হবে না বলে সুর চড়ান তিনি । তাঁর মতে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রার্থনা করাই শ্রেয়। খোলা জায়গায় তা করা উচিত নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.