সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের খুশিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেখানে তাঁদের ইচ্ছেই প্রাধান্য পাবে। ভিন্ন জাতির একজন পুরুষ ও মহিলাও বিয়ে করতে পারেন। কিন্তু তা নিয়ে খাপ পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপ ও আক্রমণ পুরোপুরি বেআইনি। এমনকী কোনও সামাজিক হস্তক্ষেপও বাঞ্ছনীয় নয়। সাফ জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
[ কেন ‘ঘুমর’ গানে নৃত্যানুষ্ঠান? স্কুলে ভাঙচুর চালাল কর্ণি সেনা ]
খাপ পঞ্চায়েতের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আদালতে এদিন একটি শুনানি চলছিল। সেখানেই এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যে খাপ পঞ্চায়েতের দৌরাত্ম্য চরমে। আলাদা জাতির মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এখনও রীতিমতো অপরাধের চোখেই দেখেন খাপ-এর কেষ্টবিষ্টুরা। ফলে এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন সমাজের সাধারণ মানুষ। যা খুলে দেয় সম্মানরক্ষার্থে খুনের পথ। এরকম একাধিক ঘটনা ঘটে। খবরের শিরোনাম হয়। কিন্তু খাপের মানসিকতা বদলায় না। তার বিরুদ্ধেই ছিল এই শুনানি। বিভিন্ন সময়ে উত্তর ভারতে খাপের দৌরাত্ম্য নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে রাজনীতিকরাও অনেক সময় ধৃতরাষ্ট্র হয়ে থেকেছেন। এককাঠি এগিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছিলেন খাপ পঞ্চায়েতগুলি সামাজিক শুদ্ধতা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এবার সে পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী সুপ্রিম কোর্ট। সাফ জানানো হয়েছে, কেন্দ্র এই খাপ পঞ্চায়েতগুলিকে নিষিদ্ধ করুক। আর কেন্দ্র যদি তা না করতে পারে তবে সুপ্রিম কোর্টই তা করবে।
[ অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ‘নিখোঁজ’ প্রবীণ তোগাড়িয়া ]
২০১১ সালেই বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু জানিয়েছিলেন, খাপ পঞ্চায়েতের নামে মানুষের উপর এই নির্যাতন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। যারা এই কাজ করে চলেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। সাত বছর পেরিয়ে আরও একধাপ এগোল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর জমানায় বিচারপতি বিদ্রোহ হয়েছে। তেমনই বেশ কয়েকটি উদার পদক্ষেপও নিতে দেখা গিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতকে। তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি খাপের দৌরাত্ম্যে লাগাম পরাতেও এবার উদ্যোগী সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.