সোমনাথ রায়: বিচারপতিদেরও মতামত প্রকাশের আগে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা উচিত। আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কর্নাটক হাই কোর্টের এক বিচারপতির একটি মন্তব্য সম্পর্কে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পাঁচ বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ পুরো মামলার রিপোর্ট চেয়েছেন।
দিন কয়েক আগে কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি বেদব্যাসাচার শ্রীশানন্দ একটি মামলার শুনানিতে বেঙ্গালুরুর নির্দিষ্ট একটি এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ওই এলাকাটিতে একেকটি অটোতে ১০ জন করে যাত্রী ওঠেন। যতই দক্ষ পুলিশ অফিসার নিয়োগ করা হোক না, ওখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। ওখানে পুলিশ আধিকারিকদের মারধর করা হয়। ওটা আসলে ভারতের অংশ নয়, পাকিস্তানের মতো।” একই সঙ্গে এক মহিলা আইনজীবী সম্পর্কে ওই বিচারপতি লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ।
কর্নাটক হাই কোর্টের ওই বিচারপতির মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুরো বিষয়টিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। কর্ণাটক হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে ওই মামলা এবং বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত। দরকারে কর্নাটক হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস খান্না, বিচারপতি বি আর গভই, বিচারপতি এস কান্ত এবং বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মনে করছে, আজকের সোশাল মিডিয়ার যুগে আদালতের কী হচ্ছে, কী বলা হচ্ছে সেগুলিও ভীষণভাবে নজরে থাকে। তাই হাই কোর্টের বিচারপতিদের জন্যও নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা উচিত। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার মেহেতার সাহায্যও চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.