সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বাবা। তাঁকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় লিভার ট্রান্সপ্লান্ট। বাবাকে বাঁচাতে নিজের লিভারের (Liver) একটা অংশ কেড়ে দিতে রাজি নাবালক। কিন্তু বাধা আইন। নাবালক হওয়ায় বাবাকে লিভার দানের অনুমতি পায়নি উত্তরপ্রদেশের নয়ডার ১৭ বছরের কিশোর। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হতে হল তাকে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতে একটি আরজি জানিয়েছে ওই নাবালক। বাবাকে লিভার দান করার অনুমতি চেয়েছে সে। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই ১৭ বছরের ওই কিশোরের বাবা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবারের কেউ লিভারের একটা অংশ দান করলে বেঁচে যেতে পারেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই পরিবারের সবার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু ১৭ বছরের ছেলে ছাড়া আরও কারও সঙ্গে ওই ব্যক্তির লিভার ম্যাচ করেনি। ওই নাবালক অবশ্য বাবাকে লিভারের একটা অংশ দিতে এককথায় রাজি হয়ে যায়।
কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। ওই নাবালকের লিভার নেওয়ার (Liver Transplant) ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইন। ভারতের আইন অনুযায়ী জীবিত অবস্থায় ১৮ বছরের কম বয়সি কারও অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায় না। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপ্রদেশ সরকার ওই নাবালকের লিভার প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেয়নি। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয় ওই নাবালককে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির (CJI) ডিভিশন বেঞ্চ এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস দিয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে আগামী সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন শীর্ষ আদালতে উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসা সচিবকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নাবালকের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছেন, এমনিতে ভারতে ১৮ বছরের কম বয়সিদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি না দেওয়া হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে গুরুত্ব বুঝে তা দেওয়াই যায়। এখন দেখার সোমবার উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh) কী সিদ্ধান্ত জানায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.