ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গে বিয়ের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগের রায়ে কোনও ত্রুটি নেই। একথা জানিয়ে বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আর এই মামলায় হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গে বিবাহের স্বীকৃতি দেয়নি। যদিও সমলিঙ্গ সম্পর্ক স্বীকৃতি পেয়েছিল। কিন্তু বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হলে আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। সেটা করতে হলে আইনসভাকেই করতে হবে। বলে রাখা ভালো সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি না দেওয়ার রায়ে কিন্তু মতৈক্য ছিল না বিচারপতিদের মধ্যে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষেই মত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাঁচ বিচারপতির মধ্যে ৩ জনই সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি না দেওয়ার পক্ষে মত দেন। পরের মাসেই সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, রায় পুনর্বিবেচনা করার একাধিক আবেদন দাখিল হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। যার নির্যাস, কোর্ট বিয়ের অনুমতি না দিলেও LGBTQ+ সম্প্রদায়কে বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তা স্বীকার করেছেন পাঁচ বিচারপতিই। আবেদনকারীদের আইনজীবী মুকুল রোহতগির দাবি ছিল, “সেদিন দুই বিচারপতি বিবাহকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হলেও তিনজন রাজি হননি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য দিক হল, প্রত্যেকেই বলেছেন ওঁদের প্রতি বৈষম্য হয়। কিন্তু বৈষম্য দূর করার উপায় বাতলে দেননি। এই কারণেই আমরা প্রকাশ্য কোর্টে শুনানির আর্জি জানাচ্ছি।” সেই আবেদন গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হত। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সেই আইনকে অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, সমলিঙ্গের প্রাপ্তবয়স্ক দুজন স্বেচ্ছায় যৌন সম্পর্কে জড়ালে তা কখনই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.