সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভায় টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তৃণমূলের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহুয়া। বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কলের বেঞ্চে এ নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বলা হয়, মামলাকারী চাইলে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন।
বিচারপতি কলের নির্দেশ মেনে এর পরই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মেনশনিং করেন মহুয়ার আইনজীবী। দু-একদিনের মধ্যেই শুনানির আর্জি জানানো হয় তাঁর তরফে বলে খবর। যাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইমেল মারফত আবেদন করুন। আমরা বিষয়টি দেখছি।”
সূত্রের খবর, যে পদ্ধতিতে তৃণমূল (TMC) সাংসদকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। মোট ১৫ পাতার আবেদন তিনি জমা দেন। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপি সাংসদ (BJP MP) নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রি। রিপোর্টে সেকথা উল্লেখ করে প্রাক্তন বন্ধু জয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন বহিষ্কৃত সাংসদ। ১৫ পাতার রিপোর্টে মহুয়া এও উল্লেখ করেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে কীভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া এড়িয়ে লোকসভায় স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার গা-জোয়ারিতে তাঁর সাংসদ পদ কাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মহুয়া।
তবে তাঁর দ্রুত শুনানির আরজি এদিন মঞ্জুর হল না বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কলের বেঞ্চে। এবার প্রধান বিচারপতি ইমেল মারফত আবেদন পেয়ে কোন সিদ্ধান্তের কথা জানান, তারই অপেক্ষায় মহুয়া মৈত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.