Advertisement
Advertisement

Breaking News

নোট বাতিল মামলায় স্থগিতাদেশ দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

আগের শুনানিতেও কেন্দ্রকে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়৷

SC refuses to stay high court hearings against currency ban
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 24, 2016 9:56 am
  • Updated:November 24, 2016 9:56 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট বাতিল কাণ্ডে কেন্দ্রের অস্বস্তি আরও বাড়ল৷ একদিকে সংসদের ভিতর-বাইরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল বিরোধীরা৷ অন্যদিকে, নোট বাতিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন হাই কোর্টে যে সমস্ত মামলা দায়ের হয়েছে, তাতে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট৷ আবেদনকারীদের কাছে এ বিষয়ে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত৷ একইসঙ্গে আদালত মনে করছে, হাই কোর্টের কোনও পদক্ষেপে আবেদনকারীরা ‘দ্রুত স্বস্তি’ পেতে পারেন৷ তবে দৈনিক টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা খারিজের দাবিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে অস্বীকার করেছে দিল্লি হাই কোর্ট৷ শুক্রবার পরের শুনানির দিন এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত৷

বুধবার শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে নোট বাতিল পর্ব দারুণ সফল বলে মন্তব্য করা হয়৷ অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি জানান, এখনও পর্যন্ত ছ’লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে৷ নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত সেই অঙ্ক দশ লক্ষ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু তাতে সুপ্রিম কোর্টে বরফ গলেনি৷ প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ কেন্দ্রের আবেদন মেনে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি৷ বিভিন্ন হাই কোর্টে দায়ের হওয়া মামলা একত্রে শীর্ষ আদালতে বা কোনও নির্দিষ্ট হাই কোর্টে করার আবেদনও করেছিল কেন্দ্র৷ এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত আবেদনকারীদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে৷

Advertisement

উল্লেখ্য, ১৮ নভেম্বর আগের শুনানিতেও কেন্দ্রকে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়৷ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে৷ যা পরিস্থিতি, দেশে দাঙ্গাও লেগে যেতে পারে৷ মানুষ যদি সুরাহা চেয়ে আইনের সাহায্য চায়, তাদের সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়৷ কেন্দ্র এদিন আদালতকে জানায়, পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে৷ ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণও অনেকটাই বেড়েছে৷ প্রয়োজনে পাঁচশো, হাজারের বাতিল নোট জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়তে পারে৷

সত্তর বছর ধরে জমা কালো টাকা সাফ করতে যদি আরও কুড়ি-তিরিশ দিন সময় লাগে, তা নিয়ে আপত্তি থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন রোহতগি৷ তাঁর দাবি, সরকার নজরদারি কমিটি গড়েছে৷ সাধারণত, কোনও দেশে নগদ লেনদেন জিডিপি-র চার শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়৷ ভারতে এর পরিমাণ ১২ শতাংশ৷ কিন্তু তাঁর যুক্তিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়নি৷ তাদের বক্তব্য, অনেকগুলি বিষয় এর সঙ্গে জড়িয়ে৷ হাই কোর্টে এমন কোনও সমাধানসূত্র বেরতে পারে, যাতে মানুষ স্বস্তি পান৷ তাই স্থগিতাদেশের প্রয়োজন নেই৷ ২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি৷ তার আগে বিভিন্ন মামলার আবেদনকারীকে শীর্ষ আদালতে বক্তব্য লিখিতভাবে জানাতে হবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement