সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর এমন কোনও বন্যপ্রাণীকে হত্যা করার পক্ষেই সওয়াল করেছিল কেন্দ্র৷ সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতও তার পক্ষেই সায় দিল৷ কেন্দ্রের এই নির্দেশের বিরুদ্ধতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক সমাজকর্মী৷ কিন্তু এখনই এর উপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করল না সুপ্রিম কোর্ট৷
বিহারে নীলগাই, হিমাচল প্রদেশে বাঁদর এবং উত্তরাখণ্ডে বন্য শূকরকে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্র৷ মানুষের উপর হামলা ও শস্যের ক্ষতি করার জন্যই এদের বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়৷ প্রয়োজন হলে এই প্রাণীদের হত্যাও করা যেতে পারে৷ কিন্তু এই নির্দেশের বিরুদ্ধতা করেন এক সমাজকর্মী৷ তাঁর মত, এই ধরনের নির্দেশ বন্যপ্রাণ হত্যাকে উৎসাহ দিতে পারে৷ মানুষের মধ্যে শিকারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেবে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি৷ কেন্দ্রের এই নির্দেশের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গান্ধীও৷ পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভেরকরকেই এ ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী করেন তিনি৷ কিন্তু উল্টে জাভেরকর জানান, এই সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানসম্মত৷ পশুদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ ও শস্য৷ তাই কিছু প্রাণীকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷
কেন্দ্রের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী সমাজকর্মী৷ বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের বিশেষ ধারার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এর ফলে মানুষের হাতে যে ক্ষমতা আসবে তার অপব্যবহারের সমূহ সম্ভাবনা আছে৷ কিন্তু এখনই কেন্দ্রের নির্দেশের বিরুদ্ধতা করেনি সুপ্রিম কোর্ট৷ বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েলের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ জারি করেনি৷ তবে সমাজকর্মীর আবেদন আরও বিস্তারিত শুনতে রাজি সর্বোচ্চ আদালত৷ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৫ জুলাই৷ তারপরই জানা যাবে এই বিষয়ে ঠিক কী রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.