Advertisement
Advertisement

এখনই স্থগিতাদেশ নয়, CAA মামলায় কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

নয়া মামলায় ফের কেন্দ্রকে নোটিস।

SC hearing petitions on Citizenship Amendment Act
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 22, 2020 11:44 am
  • Updated:January 22, 2020 2:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (CAA) স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার, CAA সংক্রান্ত মোট ১৪৪টি মামলার শুনানি শুরু হয় শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এদিন শুনানি হয়।

 CAA’র সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে মামলা-সহ ১৪৪টি মমলাতেই চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল শীর্ষ আদালত। তবে মামলাগুলি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর ইঙ্গিতও দিয়েছে প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের বেঞ্চ। পাশাপাশি, CAA সংক্রান্ত মামলা গ্রহণ না করার জন্য হাই কোর্টগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুনানির শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল আদালতে জানান, ১৪৪টির মধ্যে মাত্র ৬০টি পিটিশনের নথি পেয়েছে কেন্দ্র। তাই বাকিগুলি খতিয়ে দেখে জবাব দেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন।তারপরই চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

Advertisement

এদিন, বিরোধী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলা NPR প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন  অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল। তিনি বলেন, “NPR পিছিয়ে দেওয়া ও স্থগিতাদেশ দেওয়া একই ব্যাপার।ফলে কেন্দ্রের জবাব না শুনে শীর্ষ আদালত যেন CAA ও NPR-এর কাজ স্থগিত না করে।” এই কথায় সায় দিয়ে বিচারপতি বোবদে সাফ জানান, এখনই কোনও বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না।                   

উল্লেখ্য, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিএএ নিয়ে আবেদন জমা পড়ে। ১৪৪টি মধ্যে তৃণমূল, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা মামলাও রয়েছে। বেশিরভাগ আবেদনেই সিএএ’র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

গত বছর ১২ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়। আইন অনুযায়ী, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পারসি, ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু নাগরিকত্ব প্রদানের সঙ্গে ধর্মকে যুক্ত করাতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এই আইন মুসলিম বিরোধী নয়। তাই দুশ্চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সেই আশ্বাসেও কাজ হয়নি। কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে দিল্লি শাহিনবাগ, সর্বত্রই চলছে বিরোধিতা। 

[আরও পড়ুন: ‘মসজিদে অস্ত্র মজুত রাখে মুসলিমরা’, কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement