Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডি কে শিবকুমার

জামিন খারিজের আবেদন বাতিল, শিবকুমারকে স্বস্তি দিয়ে ইডিকে ধমক সুপ্রিম কোর্টের

দিল্লি হাইকোর্ট গত ২৩ অক্টোবর শিবকুমারকে জামিন দিয়েছিল।

SC dismisses ED's plea challenging bail to DK Shivkumar
Published by: Souptik Banerjee
  • Posted:November 16, 2019 3:24 pm
  • Updated:November 16, 2019 3:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। জামিনও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই জামিন খারিজের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার বিচারপতি আর এফ নরিম‌্যান এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ ইডির সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। স্বস্তি পেয়েছেন ডি কে শিবকুমার।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারকে পরবর্তী সময়ে দিল্লি হাইকোর্ট জামিন দেয়। সেটা ছিল গত ২৩ অক্টোবর। ডি কে শিবকুমার কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারবেন না, সেই যুক্তিতেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল উচ্চ আদালত। এই জামিনেরই বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ইডি। এদিন ইডির তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি এই জামিনের বিরোধিতা করেন এবং এই বিষয়ে একটি নোটিস দেওয়ার আরজি জানান।

Advertisement

                 [আরও পড়ুন :আদালতের নির্দেশ ছাড়া শবরীমালা যেতে ইচ্ছুক মহিলাদের নিরাপত্তা দেবে না কেরল সরকার]

ইডির তরফে আইনজীবী তুষার মেহতা এদিন বারবার শীর্ষ আদালতের কাছে শিবকুমারের জামিন বাতিলের জন্য সওয়াল করেন। তবে শীর্ষ আদালত এদিন ইডির এই আরজি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতিরা ধমক দিয়েই ইডির আবদন খারিজ করেছেন।বিচারপতি নরিম‌্যান তিরস্কারের সুরে বলেন, “এইভাবে দেশের মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত না, মিস্টার মেহতা।শবরীমালা নিয়ে যে ভিন্নমত রয়েছে, তা আপনার পড়া দরকার। এটা আপনাদের মতো মানুষের জন্যই, যাতে আপনারা আধিকারিকদের শিক্ষিত করতে পারেন ও নির্দেশ দিতে পারেন যে, আমাদের রায় নিয়ে খেলা করা যায় না।”

         [আরও পড়ুন :রাডারে ‘আরবান নকশাল’রা, আধাসেনাকে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর]

২০১৭ সালে কর্ণাটকে জোট সরকার গঠনের সময়ে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরই চেষ্টায় কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে জেডিএস সরকার গঠন করে। বিজেপির দখল নিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু তার দিন তিনেকের মধ্যে শিবকুমারের বিরুদ্ধে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন ইডি অফিসাররা। সেই সময় প্রায় ৩০০ কোটি  টাকা উদ্ধার হয়েছিল তাঁর বাড়ি থেকে। এই বিপুল অঙ্কের অর্থের কোনও হিসেবও দিতে পারেননি কংগ্রেস নেতা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement