সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Courrt) ধাক্কা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। তাঁর পুনর্নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগ রাজ্যের এক্তিয়ার বহির্ভূত নয়। তিনি আর উপাচার্য (VC) থাকতে পারবেন না। এমনই জানাল শীর্ষ আদালত। রাজ্যপালকে এড়িয়ে সোনালি চক্রবর্তীকে দ্বিতীয়বার ওই পদে বহাল করায় রাজ্যের সমালোচনা করেছেন বিচারপতিরা।
২০২১ সালের আগস্টে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) উপাচার্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় সোনালি চক্রবর্তীর। এরপর জরুরিকালীন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ওই পদে তাঁকে পুনর্নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের সুপারিশ অনুযায়ী এই নিয়োগ করা হয়। সোনালি চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে বিশেষ কারণ দেখিয়ে পুনর্নিয়োগ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তারউপর আগামী ৪ বছরের জন্য সোনালি চক্রবর্তীর কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই নিয়োগ ক্ষমতার অপব্যবহার বলে উল্লেখ করে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করেন অনিন্দ্যসুন্দর দাস নামে এক আইনজীবী। সেই মামলায় উচ্চ আদালত জানায়, নিয়োগকারী সমস্ত কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে একতরফাভাবে সোনালি চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত যথাযথ নয়, তা খারিজ করতে হবে। অর্থাৎ সোনালি চক্রবর্তীকে আর উপাচার্য পদে রাখা যাবে না।
হাই কোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোনালি চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন, রাজ্য সরকারও তাতে শামিল হয়। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। মঙ্গলবার বিচারপতিরা জানান, এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায় একেবারে সঠিক, সেই রায়ই বহাল রাখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতিরা জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে যে ‘সমস্যার অপসারণে’র ধারা (রিমুভাল অফ ডিফিকাল্টি) রয়েছে, তার অপব্যবহার করে ওই নিয়াগ হয়েছে। তাতে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।তাই সোনালি চক্রবর্তীর নিয়োগ একেবারেই যথাযথ নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.