সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে অসমে কতগুলি বন্দিশালা (ডিটেনশন সেন্টার) কার্যকর রয়েছে এবং সেখানে বিগত ১০ বছরে কতজন বিদেশি নাগরিককে আটক রাখা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। হর্ষ মান্দের নামে এক সমাজকর্মী অসমের বন্দিশালাগুলির কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। একই সঙ্গে হর্ষ জানতে চান ওই সব বন্দিশালায় কতজন বিদেশি নাগরিক আটক রয়েছেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে অসমের বন্দিশালাগুলির হালহকিকত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়।
[প্রয়াত প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া]
বেঞ্চ জানতে চায়, এই মুহূর্তে অসমে কতগুলি বন্দিশালা কার্যকর রয়েছে, সেখানে কতজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন, কতদিন ধরে তাঁরা বন্দি রয়েছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলির সর্বশেষ পরিস্থিতি কী। বন্দিদের মধ্যে কতজনকে বিদেশি নাগরিক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কতজনকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে সে বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন কেন্দ্রের তরফে আদালতে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। গত ১০ বছরে কতজন অবৈধভাবে এদেশে ঢুকেছে, সাল অনুযায়ী তার পরিসংখ্যানও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই পরিসংখ্যান পেশ করতে হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছে বেঞ্চ।
হর্ষর আবেদনের প্রেক্ষিতে এর আগে কেন্দ্র ও অসম সরকারের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন হর্ষর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতে বলেন, বন্দিশালায় থাকা বিদেশি নাগরিকরা খুব ভাল অবস্থায় নেই। বিদেশি নাগরিকদের কখনওই এভাবে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা যায় না। ২০১৮–র নভেম্বরে কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল যে, বিদেশি নাগরিকদের বন্দিশালায় আটকে রাখার বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরির কাজ চলছে। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই এই কাজ করা হচ্ছে।
[তৃণমূলের পথে হেঁটে লোকসভায় বামেদের হাতিয়ারও ‘ওয়ান ইজ টু ওয়ান’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.