Advertisement
Advertisement
EMI

EMI স্থগিতের সুবিধা পাচ্ছে না গ্রাহকরা, RBI-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

EMI স্থগিত রাখার বিষয়টি ঘোষণা করেছিলেন RBI-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস

SC asks RBI to examine if banks are giving loan moratorium benefits
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 30, 2020 4:11 pm
  • Updated:April 30, 2020 4:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে দেশের গরিব-প্রান্তিক মানুষদের সুবিধার্থে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। তার পরপরই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, তিন মাস ব্যাংক ঋণের কিস্তি (EMI) স্থগিত করা। সেই সুবিধা ব্যাংকগুলি নিজেদের গ্রাহককে দিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে RBI-কে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

[আরও পড়ুন: তবলিঘি জামাত প্রধান মৌলানা সাদকে ফের নোটিস পাঠাল দিল্লি পুলিশ]

কয়েকদিন আগেই ব্যাংক ঋণের কিস্তি স্থগিত করা সংক্রান্ত একটি মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। অভিযোগ উঠে RBI নির্দেশ দিলেও তিন মাসের জন্য EMI স্থগিত রাখার সুবিধা অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের দিচ্ছে না ব্যাংকগুলি। এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ বলে, RBI যে সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিল, তা পাচ্ছে না গ্রাহকরা। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকা উচিত। গ্রাহকরা আদৌ তিন মাস কিস্তি স্থগিত রাখার সুবিধা পাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখুক RBI। 

Advertisement

মার্চ মাসের ২৭ তারিখ EMI স্থগিত রাখার বিষয়টি ঘোষণা করেন RBI-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা এবং আর্থিক বৃদ্ধি সচল রাখতে এই পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক। এর ফলে লকডাউনের জেরে ঘরে বসে থাকা কোটি কোটি দেশবাসীকে স্বস্তি পাবে। তাঁর ঘোষণার পরই তৎপরতা দেখায় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ও কিছু বেসরকারি ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলি হল পিএনবি, কানাড়া, আইডিবিআই, ব্যাংক অফ বরোদা-সহ একগুচ্ছ রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক। এরা প্রত্যেকেই জানিয়েছে, তিন মাস কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে তারা ইএমআই কাটবে না। ৩১ মে পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তারপর পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী ঘোষণা করবে ব্যাংকগুলি।

উল্লেখ্য, গোটা বিশ্ব করোনার জেরে ত্রস্ত। দিন দিন দাপট বেড়েই চলেছে মারণ জীবাণুর। বিশ্বে ৩২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ২৮ ছাড়িয়েছে। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার পেরিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০৭৪ জনের। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ জব্দ করতে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়বে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। 

[আরও পড়ুন: দিনে ৫০০’রও কম, কেরলে আচমকা নিম্নমুখী COVID-19 টেস্টের সংখ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement