ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এত নিষেধাজ্ঞা, কড়াকড়ির পরেও দীপাবলিতে ফটফটিয়ে ফেটেছে শেল ও নানা ধরনের বোমা। আতসবাজির ধোঁয়ার চাদরে ঢেকেছিল রাজধানীর বহু এলাকা। দিল্লিতে বায়ুদূষণ ঠেকাতে বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আপ সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই যথেষ্ট বাজি পুড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। এই ইস্যুতে এবার দিল্লি সরকার ও পুলিশ কমিশনারের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করে সোমবার শীর্ষ আদালত বলে, বাজি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা শুধু খাতায়কলমেই রয়েছে। ফি বছর এই একই কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, নিয়মমাফিক তা উপেক্ষাও করা হয়। যার ফলে রাজধানী এবং লাগোয়া এলাকা বিষ-ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়। সুপ্রিম কোর্ট সেই কারণে আপ সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশকে নোটিস পাঠিয়ে তাড়াতাড়ি এই নির্দেশ উপেক্ষা করার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ ম্যাসি দিল্লির বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এদিন আরও জানতে চান, এ বছর বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ কার্যকর করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? একইসঙ্গে আগামী বছর দীপাবলিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে প্রশাসন কী পরিকল্পনা করেছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালেও দেখা গিয়েছে দিল্লির বাতাস পরিণত হয়েছে বিষবাষ্পে। এদিক সকালে অসহনশীলতার নিরিখে বায়ুর মান ৫০০ পরিমাপকের মধ্যে ৪০০ ছাড়িয়ে যায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রামের মতো জায়গাগুলিতে। আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, বাওয়ানা মতো একাধিক জায়গায় দূষণের মাত্রা ৪০০ ছাড়িয়ে যায়। বুরারিতে দূষণের মাত্রা ছিল ৩৭৮, চাঁদনিচকে ৩১৩, মথুরা রোডে ৩৬৫। মাত্রা ছাড়া এই দূষণের কারণ হিসেবে আতসবাজিকেই দায়ি করছেন দিল্লিবাসী। রাজধানীর পর দূষণের দিক থেকে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল হরিয়ানা। সোনিপথে দূষণের মাত্রা ছিল ৩৭৩, রোহতকে ছিল ৩৩৭।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.