সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসার খরচ প্রতিদিনই বাড়ছে। অর্থের অভাবে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে যেতে বা ডাক্তার দেখাতে যেতেই ভয় পাচ্ছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্র চুপ করে বসে থাকতে পারে না। অর্থের অভাবে যেন সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় খামতি না রয়ে যায়। কিছু একটা করতেই হবে সরকারকে, বৃহস্পতিবার এই কথাই জানাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সম্প্রতি দেশের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে নির্ধারিত মূল্যের প্রায় ১,১৯২% বেশি দামে রোগীদের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA) আগেও বহুবার এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। সম্প্রতি নিম্ন রক্তচাপ, ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য দিল্লি, নয়ডার অন্তত চারটি বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ১ হাজার শতাংশরও বেশি দামে ওষুধ, সিরিঞ্জ বিক্রি করেছে। ১৪ টাকা ৭০ পয়সা দামের একটি অ্যাড্রিনর ইনজেকশনের জন্য রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৫,৩১৮ টাকা।
এরকম হাজার হাজার অভিযোগ দেশের প্রায় প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে গেলেই শোনা যায়। রোগী বেঁচে থাকতে যতটা সম্ভবত অর্থ কার্যত লুটে নেওয়া হয় তাঁর পরিবারের কাছ থেকে। এমনকী, মৃত্যুশয্যাতেও মেলে না ছাড়। মৃত্যুর পরও বিল মিটিয়ে না দিলে মৃতদেহটুকু ছাড়া হয় না। পাই পয়সা মিটিয়ে না দিলে মরণাপন্ন রোগীকেও বিনা চিকিৎসাই ফেলে রাখার মতো অভিযোগ রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ ও বিচারপতি দীপক গুপ্তর বেঞ্চের মন্তব্য, ‘ভারতের মতো দেশে অন্যায্য খরচের জন্য সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু একটা করতেই হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.