ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ২৬ ডিসেম্বর কর্নাটকের বেলগাভিতে বসতে চলেছে কংগ্রেসের দুদিনের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠক। ঠিক ১০০ বছর আগে প্রথম ও শেষবারের বেলগাভিতেই কংগ্রেস সভাপতির ভার গ্রহণ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এখান থেকেই ডাক দেওয়া হয় সত্যাগ্রহের। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার শতবর্ষের বৈঠকের নাম রাখা হয়েছে নব সত্যাগ্রহ বৈঠক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও কর্নাটকের বাসিন্দা।
১৯২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর এখানেই প্রতিষ্ঠা হয় কংগ্রেস সেবাদলের। এদিনও ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে বৈঠক। কর্মসমিতির সদস্য ছাড়াও থাকবেন স্থায়ী আমন্ত্রিত, বিশেষ আমন্ত্রিত, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য, প্রদেশ সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির পদাধিকারীরা-সহ মোট ২০০ কংগ্রেস নেতা। পরদিন, ২৭ ডিসেম্বর হবে জয় বাপু, জয় ভীম, জয় সংবিধান র্যালি। এই পদযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন সব সাংসদরাও। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে যেমন ভারত জোড়ো যাত্রার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়িত হয়েছিল, তেমনই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে এবারও। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা, সংবিধান রক্ষা-সহ আগামী এক বছর কংগ্রেসের কর্মসূচি কী কী হবে, তা ঠিক হবে।
সূত্রের খবর, সংবিধান প্রণেতা ড. আম্বেদকর সম্পর্কে সংসদে যে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সেই বিতর্ক এত সহজে থামাতে নারাজ কংগ্রেস। কর্নাটকের বৈঠক থেকেও এই বিষয়ে কোনও কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। আবার এক শতাব্দী আগে যেভাবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, বিজেপি শাসিত বর্তমান কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধেও তেমন কোনও কর্মসূচির ডাক দিতে পারে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.