সঞ্জীব সান্যাল। ছবি: সোশাল মিডিয়া।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালিদের অধঃপতন হয়েছে। তারা শুধুই সিগারেট আর মদে ডুবে থাকে। তাদের দৌড় বড়জোর মৃণাল সেনের (Mrinal Sen) ছবি পর্যন্ত। এই ভাষাতেই বাঙালি এবং তাদের গর্বের পরিচালককে অপমান করলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। একটি পডকাস্ট চ্যানেলে এই মন্তব্য করেছেন সঞ্জীব সান্যাল।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালের (Sanjeev Sanyal) দাবি, বর্তমানে কলকাতার দুর্দশার মূলে আছেন সাধারণ মানুষই। তাঁরাই সিগারেট ফুঁকে, মদ খেয়ে নিজেদের আঁতেল ভাবেন। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে আদতে বাঙালিরা দৈন্যে ডুবে। তিনি বলেছেন, “কোথাও বসে ধূমপান করা, মদের গ্লাসে চুমুক দেওয়াটা যদি আপনার আকাঙ্ক্ষা হয় এবং নিজে কোনও কিছু না করে বাকি দুনিয়ার বিষয়ে জ্ঞান দেওয়াই আপনার কাজ হয়, তাহলে কিছু করার নেই। যদি সেটাই সমাজের লক্ষ্যমাত্রা হয়, মৃণাল সেনের সিনেমা যদি আপনার সমাজের আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়, তাহলে তখন সেটা নিয়ে অভিযোগ করবেন না।”
স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বক্তব্য প্রকাশ পেতেই রোষে ফেটে পড়েছে বাঙালিদের একটা বড় অংশ। তাঁর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Congress) রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখেন, ‘এমন কিছু বিশ্বাসঘাতক বাঙালি বিজেপি (BJP) আর মোদির বঙ্গ বিরোধী বিষ আর আক্রোশকে উসকে দিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন।’ ‘অবস্থা ফেরাতে’ সঞ্জীববাবুর পরামর্শ, “প্রত্যাশাপূরণ না করতে পারলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনছেন মানুষ।” তার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, “ঠিকমতো কাজ করতে না পারলেও কেন তাদের বারবার ফিরিয়ে আনছেন বাংলার মানুষ? আপনারা অন্য কাউকে বেছে নিয়ে পরীক্ষা করছেন না কেন? কেন একটি দলকেই বাববার ভোটে জেতাচ্ছেন?”
প্রকৃতপক্ষে ‘নির্বাচনী জালিয়াতি’ এবং ‘শিল্পের পর্যায়ে বুথদখল’ রয়েছে বলেই যুক্তি দিয়েছেন সঞ্জীববাবু। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যের দাবি, বাঙালির এমন অবস্থার নেপথ্যে রয়েছে সঠিক লক্ষ্যমাত্রার দৈন্য। তিনি বলেন, “দিনের শেষে মানুষজন সেই নেতাকেই পান, যে নেতা পাওয়ার যোগ্য তাঁরা। আপনি যদি লালুপ্রসাদ যাদবকে (Lalu Prasad Yadav) নির্বাচিত করেন, তাহলে কোনও ফলের আশা করবেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.