Advertisement
Advertisement
ফাঁসির সাজা

ফের পথ দেখাল তেলেঙ্গানা! ৬৬ দিনের মধ্যে ফাঁসির সাজা তিন ধর্ষককে

সাজাপ্রাপ্ত হল শেখ বাবু, শেখ সাহবুদ্দিন ও শেখ মকদুম।

Fast Track Court Awards Death Sentence For Three Accsued
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 30, 2020 5:29 pm
  • Updated:January 30, 2020 5:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে এক যুবতী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর নৃংশসভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে সবাই যখন সরব হয়ে উঠছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা অভিযোগ তুলছে। ঠিক তখনই ধর্ষণের ঘটনার পুনর্নিমাণের সময় পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় চার ধর্ষকের। বিষয়টি নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন ও কর্মীরা শোরগোল তুললেও দেশের বেশিরভাগ মানুষ পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তেলেঙ্গানার পুলিশের। রাজ্যজুড়ে পুলিশ কর্মীদের মিষ্টিও খাইয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। অভিনন্দন জানিয়েছিলেন দিল্লির নির্ভয়ার মা-ও। প্রায় সবাই ধর্ষকের শাস্তি হিসেবে ‘হায়দরাবাদ মডেল’ অনুসরণ করার পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। এবার ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়েও দৃষ্টান্ত তৈরি করল তেলেঙ্গানার প্রশাসন। ধর্ষণের ঘটনার ৬৬ দিনের মধ্যে তিন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ দিল সেখানকার বিশেষ ফার্স্ট ট্র্যাক আদালত। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার আদিলাবাদ আদালতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৪ নভেম্বর তেলেঙ্গানার আসিফাবাদ কোমারাম ভীম জেলায় একটি আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই তিন অভিযুক্ত শেখ বাবু, শেখ সাহবুদ্দিন ও শেখ মকদুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই তেলেঙ্গানার কেসি আর সরকারের নির্দেশে দ্রুত ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের অর্ণবকে ‘কামড়’ কুণাল কামরার, সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থারও ]

 

অভিযুক্তদের স্বপক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াবেন না বলেও ঘোষণা করা হয় আদিলাবাদ বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। এর ফলে ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে মামলাটির শুনানির কাজ সম্পন্ন হয়। ১৪০ পাতার চার্জশিট, ৪৪ জন সাক্ষীর বক্তব্য, DNA রিপোর্ট ও অন্য তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেওয়ার পর অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিশেষ আদালতের বিচারক। সাজাপ্রাপ্তরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার অনুরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি।

[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে পরপর ২ দিন ধর্মঘট হচ্ছেই, বৈঠকের পরেও অবস্থানে অনড় ব্যাংক কর্মচারী সংগঠন ]

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ নভেম্বর আসিফবাদ কোমারাম ভীম জেলার ৩০ বছরের বাসন বিক্রেতা এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে তিনজন। মদ্যপ অবস্থায় ওই যুবতীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানোর পাশাপাশি তাঁর কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাদের পরিচয় পুলিশকে বলে দিতে পারে এই ভয়ে নির্যাতিতার গলা কেটে খুন করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement