Advertisement
Advertisement

Breaking News

বেতন

নগদ নেই অর্থমন্ত্রকে, কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের একাংশ জুনের বেতন পাবেন দেরিতে

স্বাধীনতার পর প্রথমবার ঘটছে এই ঘটনা।

Salary of Group A & B employees of DoE deferred to July

ছবি:প্রতীকী

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 23, 2019 3:04 pm
  • Updated:June 23, 2019 9:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশের অর্থব্যবস্থার দায়িত্ব অর্থমন্ত্রকের উপর। সেই অর্থমন্ত্রকেই নেই নগদ অর্থের সংস্থান। যার জেরে জুন মাসের বেতন নির্ধারিত সময়ে পাবেন না সরকারি কর্মীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই ব্যয় দপ্তরকে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। যাতে বলা হয়েছে, বেশি বেতন পাওয়া বেশ কিছু কর্মীর বেতন এ মাসে নির্ধারিত সময়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তা বেশ কয়েকদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে পুরো বিষয়টি গোপন রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই নির্দেশিকাটি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এবং সরকারি কর্মীদের অধিকাংশের কাছেই পৌঁছে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: বিচারপতির সংখ্যা ও অবসরের বয়স বাড়ান, মোদিকে চিঠি রঞ্জন গগৈ-এর]

আসলে, যে বছরগুলিতে লোকসভা ভোট হয়,সে বছরের শুরুতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্তর্বর্তী বাজেটে ভোটের আগে পর্যন্ত যাবতীয় খরচ চালানোর জন্য সরকারি কোষাগার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নগদ তুলে নেয় অর্থমন্ত্রক। ভোটের পরে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হওয়া পর্যন্ত সেই টাকাতেই যাবতীয় খরচ চালাতে হয় সরকারকে। কিন্তু, সমস্যা হল এবছর অন্তর্বর্তী বাজেটে যে পরিমাণ টাকা চাওয়া হয়েছিল, তাঁর থেকে তুলনামূলক বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে অর্থমন্ত্রকের ব্যয় দপ্তরের হাতে উপযুক্ত পরিমাণ নগদ মজুত নেই।

Advertisement

অর্থ মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, অন্তর্বর্তী বাজেটে অনুমোদিত টাকার থেকে যাতে খরচ বেশি না হয়ে যায়, সেজন্যই এই সাময়িক নির্দেশিকা। তা-ও শুধু ব্যয় দপ্তরের অধীন একটি নির্দিষ্ট বিভাগ, ‘কন্ট্রোলার অব জেনারেল অ্যাকাউন্টস’ এবং পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (পিএফএমএস) প্রোজেক্ট সেলের কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। এই দুই বিভাগেরও সব কর্মীদের জন্য নয়। শুধুমাত্র গ্রুপ-এ এবং গ্রুপ-বি কর্মীদের জন্য। যার সংখ্যাটা নিতান্তই কম।

[আরও পড়ুন: ইউপিএ আমলেই ফৌজি বিমান ক্রয়ে ঘুষ ৩৩৯ কোটি, তদন্তে সিবিআই]

কিন্তু, সংখ্যাটা যতই কম হোক, স্বাধীনতার পর সম্ভবত এই পরিস্থিতি আগে তৈরি হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, অর্থমন্ত্রকের অব্যবস্থা নিয়ে।তাছাড়া সরকার যে বেতন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলছে, তা কতদিন সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে আগামী ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করবেন। সেই বাজেট পাশ হওয়ার পর নতুন করে কোষাগার থেকে নগদ তুলতে পারবে অর্থমন্ত্রক। তখনই দেওয়া হবে বেতন। সেটা জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেও হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement