সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে তৃণমূলের (TMC) জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) গ্রেপ্তারি ‘বেআইনি’। এই অভিযোগে গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সাকেত টুইটারে পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন সাকেত।
তিনি লিখেছেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৩ সপ্তাহ আগে আমার গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে গুজরাট পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাকে যেভাবে জয়পুর থেকে আহমেদাবাদ কোনও ট্রানজিট রিমান্ড ছাড়াই নিয়ে গিয়ে বেআইনি হেফাজতে রাখা হয়েছিল তার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
Glad to announce that National Human Rights Commission (NHRC) has registered a case against Gujarat Police regarding my arrest 3 weeks ago.
The case is for taking me into illegal custody without a transit remand (and without informing local police) from Jaipur to Ahmedabad. pic.twitter.com/BXR2d6vCDh
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) December 29, 2022
মোরবির সেতুভঙ্গ নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইটের জেরে ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। একটি RTI-এর কপি সম্বলিত টুইট শেয়ার করে সাকেত দাবি করেছিলেন, মোরবির সেতুভঙ্গের পর মোদির গুজরাট সফরে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। কিন্তু এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে গুজরাট পুলিশ (Gujarat Police)। বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল মুখপাত্রকে। কিন্তু আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত। ছাড়া পাওয়ার পর ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় অন্য একটি মামলায়। এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত।
বস্তুত, গোখলের গ্রেপ্তারি একপ্রকার মুখ পুড়িয়েছে গুজরাট প্রশাসনের। ঘটনাচক্রে সেসময় গুজরাটে জারি ছিল আদর্শ নির্বাচন বিধি। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশন বিজেপির ইশারায় অনৈতিকভাবে কাজ করছে। উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল এবং মৌসম নূর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.