সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : আইএসআইএস দ্বারা সইফুল্লাহ এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল যে, নিজেকে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলেই ভাবতে শুরু করেছিল সে। লখনউয়ে গুলির লড়াইয়ে হত এই জঙ্গি সম্পর্কে এমন তথ্যই উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেকে সন্ত্রাসবাদের চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল সইফুল্লাহ। ইন্টারনেট দেখে বোমা বানানো শিখেছিল উত্তরপ্রদেশের এই যুবক। ভোপাল-উজ্জয়িনী ট্রেন বিস্ফোরণের পর সেই ঘটনার ফুটেজ সিরিয়াতে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল সে। আর সেখান থেকেই পুলিশের সন্দেহের শুরু।
ত্বকে সাদা দাগ! সারবে এই ঘরোয়া টোটকাতে
পুলিশের দাবি, সইফুল্লাহ নিজেকে আইএসআইএস-এর একজন একনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে মনে করত। হাজি আলি কলোনির ঠাকুরগঞ্জের যে বাড়ি থেকে সইফুল্লাহকে নিকেশ করা হয়, সেখান থেকে বোমা তৈরির বিভিন্ন উপাদান উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনটি পাসপোর্টও উদ্ধার হয়েছে এই বাড়ি থেকে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি দলজিত চৌধুরির কথায়, সইফুল্লা-সহ আরও কয়েকজন যুবক ইন্টারনেটের মাধ্যমে কট্টরপন্থী জেহাদি মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। অনলাইনেই শিখেছিল বিস্ফোরক কীভাবে বানাতে হয়।
কাজ করুন দিক মেনে, তাতেই আসবে সাফল্য
প্রায় ১২ ঘণ্টা উত্তরপ্রদেশ এটিএসের সঙ্গে গুলির লড়াই শেষে বুধবার ভোরে খতম হয় জঙ্গি সইফুল্লাহ। বহুবার তাকে আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এমনকি সইফুল্লাহর দাদা মহম্মদ ফয়জলের সঙ্গে কথাও বলে পুলিশ। ভাইকে বোঝানোর জন্য বলা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ফয়জল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এরপরই গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয় এই জঙ্গি। ছেলের এই কাজ মেনে নিতে পারেননি বাবা সরতাজ। এমন দেশদ্রোহী ছেলের লাশ পর্যন্ত নিতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
ছেলে ‘দেশদ্রোহী’, জঙ্গি সইফুল্লাহর লাশ নিতে অস্বীকার বাবার
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.