সুব্রত বিশ্বাস: রেলেও চলছে গৈরিকীকরণ। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই গৈরিকীকরণের কাজ৷ প্রথমে গেরুয়া করা হয় কোচের রং। এর পর লাইনের স্লিপার থেকে স্টেশনের বিভিন্ন অংশকেও একই রঙে রাঙিয়ে তোলার কাজ চলছে৷ এই গেরুয়া রঙের পিছনেও রাজনীতি রয়েছে বলে, দাবি করছে একাংশ৷
[বঙ্গসংস্কৃতিকে চেনাবে উনিশের ব্রিগেড, চাইছেন মমতা]
এই গৈরিকীকরণে পিছনে রেলের যুক্তি, দীর্ঘ দিন ধরে মেল এক্সপ্রেসের কোচ একই রংঙের হওয়ায় তাতে একঘেয়েমি এসে গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে ইট লাল রঙের পরিবর্তে কালচে নীল রংয়ের ব্যবহার শুরু হয়। এর পর একে একে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার শুরু হয়। দ্বিতীয়বার রেলমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুরন্ত-সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে রঙের বাহার আনেন। যা যাত্রীদের মনে ধরে। এরপর শুরু হয়েছে গেরুয়া রঙের ব্যবহার। এর পিছনে রেলের যুক্তি, এই রঙ দীর্ঘস্থায়ী এবং ঔজ্জ্বল্য বেশি৷ তাই চোখে সহনশীল।
[বাড়ছে ‘সাইবার যুদ্ধে’র আশঙ্কা, নয়া এজেন্সি গঠন করতে চলেছে সেনা]
রঙের বিন্যাসকে রাজনীতির অঙ্গ বলে মনে করতে শুরু করেছে একাংশ। তাঁদের যুক্তি, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের দলীয় পতাকার রং। এই গৈরিকীকরণের নীতি রীতিমতো কেন্দ্রের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত৷ এসব যুক্তি অবশ্য রেলকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁদের বক্তব্য, এই গেরুয়া রং বেশি মাত্রায় দৃশ্যমান। শীতে কুয়াশার দাপটে সিগন্যাল দেখা যায় না। সামনে স্টেশন রয়েছে এটা বুঝতে পারেন না চালকরা। তাই স্টেশন সংলগ্ন এলাকার লাইনগুলিকে রং করা হয়। যাতে চালক তা বুঝে ট্রেনের গতি কমাতে পারেন। আগে স্লিপারগুলি সাদা রং করা হত। পরে হলুদ। এখন গেরুয়া-সাদা রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। লাইনের নিচে স্লিপারগুলি মাঝে গেরুয়া ও দুই ধারে সাদা রং করা হচ্ছে। হাওড়া, শিয়ালদহের বহু স্টেশনে এই রঙের প্রলেপ পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.