সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসার নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্কের শেষ নেই৷ উপশমই বা কী, তা নিয়ে কৌতূহল সকলেরই৷ এসবের মাঝেই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন বিতর্কিত নেত্রী তথা ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ বলেছিলেন, শুধুমাত্র গোমূত্রেই তাঁর ক্যানসার সেরে গিয়েছে৷ ভোপালের বিজেপি প্রার্থীর দাবি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে যথেষ্টই৷ কিন্তু মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্তের এই গোমূত্রের তত্ত্ব ওড়ালেন তাঁরই চিকিৎসক৷ অস্ত্রোপচারই যে সেরে ওঠার চাবিকাঠি, স্পষ্টই জানালেন তিনি৷
সময়টা ২০০৮ সাল৷ রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের চিকিৎসক এস এস রাজপুতের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় সাধ্বীর৷ তখন তিনি মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছেন জেল হেফাজতে৷ সাধ্বীর ডানদিকের স্তনে টিউমার ধরা পড়ে৷ টেস্ট রিপোর্টে বোঝা যায়, টিউমারটি বড় হতে শুরু করেছে তাঁর৷ প্রথমবার অস্ত্রোপচার করা হয় সাধ্বীর৷ মাঝে বছর তিনেক বেশ সুস্থ ছিলেন তিনি৷
২০১১ সালে আবারও ডানদিকের স্তনে যন্ত্রণা হতে শুরু করে৷ চিকিৎসক রাজপুতের কাছে যান সাধ্বী৷ পরীক্ষা করে জানা যায়, টিউমারটি ক্যানসারের আকার নিয়েছে৷ এরপর ২০১১ সালে অস্ত্রোপচার করা হয়৷ মাঝে কেটে যায় ছ’টি বছর৷ ক্যানসার যাতে ছড়াতে না পারে তাই ২০১৭ সালে আবারও অস্ত্রোপচার করে দুটি স্তনই বাদ দেওয়া হয় সাধ্বীর৷
অথচ ভোপালের বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পরই সাধ্বী দাবি করেন শুধুমাত্র গোমূত্রের মাধ্যমেই নাকি ক্যানসারের মতো জটিল রোগও সেরে গিয়েছিল তাঁর৷ সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি নস্যাৎ করে চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘সাধ্বী গোমূত্র খেতে পারেন কিনা, আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন৷ আমি স্পষ্টই জানিয়ে দিই, গোমূত্রে ক্যানসার সারে তার কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই৷ কিন্তু কোনও রোগীর গোমূত্রে এত ভরসা থাকলে, তা খেতেই পারেন৷’’ প্রার্থী হওয়ার আগেও সাধ্বী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে দাবি চিকিৎসকের৷ সাধ্বী এবং চিকিৎসকের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে৷ গেরুয়া শিবিরের ধর্ম জিগির তুলে ধরতেই নাকি অস্ত্রোপচারের কথা ধামাচাপা দিয়ে সাধ্বী গোমূত্রে সিলমোহর দিয়েছিলেন৷ এমনই দাবি বিরোধীদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.