সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও নাথুরাম গডসেকে (Nathuram Godse) ‘দেশভক্ত’ বলে বসলেন বিতর্কিত বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Sadhvi Pragya Singh Thakur)। কালই মধ্যপ্রদেশে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) হত্যাকারী নাথুরামের নামে খোলা লাইব্রেরি ‘গডসে জ্ঞানশালা’ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ সেই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, নাথুরামকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত। সেই টুইটেরই পালটা দিতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন সাধ্বী।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এদিন দিগ্বিজয়ের টুইটের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাধ্বী বলেন, ‘‘দেখুন, কংগ্রেস বরাবরই দেশভক্তদের গালাগালি দিয়েছে। উনি আগে ‘গেরুয়া সন্ত্রাসের’ কথাও বলেছেন। এর থেকে খারাপ আর কী হতে পারে?’’ প্রসঙ্গত, এর আগে সংসদে নাথুরামকে ‘দেশভক্ত’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সাধ্বী। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায়, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন নেত্রী। এবার আরও একবার পুনরাবৃত্তির পথে হাঁটলেন তিনি।
Congress has always abused the patriots. He has said ‘Bhagwa aatank’ (Saffron terror), what can be worse than this: BJP MP Pragya Singh Thakur on being asked ‘Congress leader Digvijaya Singh called Godse the first terrorist’ pic.twitter.com/mB0LlB3qL8
— ANI (@ANI) January 13, 2021
বুধবার দিগ্বিজয় সিং তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘মহামান্য মদনমোহন মালব্যজি, যিনি মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গী ও অনুগত ছিলেন, তিনিই হিন্দু মহাসভার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেসের তিনবারের সভাপতিও। আর আজ হিন্দু মহাসভার সদস্যরা মহাত্মা গান্ধীর খুনি নাথুরামের প্রশস্তি গাইছে! কিছু তো লজ্জা থাকা উচিত। এর পিছনে কার লুকনো অ্যাজেন্ডা রয়েছে?’’
महामना मदन मोहन मालवीय जी जो कि महात्मा गॉंधी के अनुयायी व साथी रहे, जिन्होंने हिंदू महासभा स्थापित की, अखिल भारतीय कॉंग्रेस के ३ बार अध्यक्ष रहे आज उस हिंदू महासभा के लोग महात्मा गॉंधी के हत्यारे नाथूराम गोडसे को महामंडित कर रहे हैं!! शर्म करो। इसके पीछे किसका छुपा हुआ हाथ है? https://t.co/aYZv5yycES
— digvijaya singh (@digvijaya_28) January 13, 2021
রবিবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার উদ্বোধন করেছিল ‘গডসে জ্ঞানশালা’র। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় কঠোর সমালোচনা। কংগ্রেসের তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়, গান্ধীর দেশে নাথুরাম গডসের মতামত প্রচারের চেষ্টা করছে বিজেপি-আরএসএস জুটি। এই ধরনের কটাক্ষে অস্বস্তি বাড়ছিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের। অবশেষে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পুলিশকে অবিলম্বে ওই লাইব্রেরির বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে উদ্বোধনের দু’দিন পরে বন্ধ করে দেয় লাইব্রেরিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.