Advertisement
Advertisement
সাধ্বী প্রজ্ঞা

গডসে বিতর্কে চাপে পড়ে ক্ষমাপ্রার্থী সাধ্বী, সন্ত্রাসী বলার জন্য রাহুলকে তোপ বিজেপি সাংসদের

মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে সংসদে দাবি সাধ্বী প্রজ্ঞার।

Sadhvi Pragya apologizes for Godse patriotic remark
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 29, 2019 2:21 pm
  • Updated:November 29, 2019 2:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙলেন তবু মচকালেন না! গডসেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে চাপে পড়ে সংসদে ক্ষমা চাইলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। বললেন, তাঁর মন্তব্যের জন্য যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগে তাঁর জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু তাঁর মন্তব্যের জন্য সাংসদ রাহুল গান্ধী যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলে কটাক্ষ করেছেন তার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি সাংসদ। কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে সন্ত্রাসবাদী দেগে দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার লোকসভায় সরব হন সাধ্বী। এদিন সাধ্বী বক্তব্য রাখার সময় তুমুল হই-হট্টগোল হয় সংসদে। কংগ্রেস ও বিরোধী শিবির অবিলম্বে সাধ্বীর সাংসদ পদ খারিজ করার দাবি তোলে।

এদিন নিজের বক্তব্য পেশ করার সময় সাধ্বী দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। বিরোধী ও সংবাদমাধ্যমকে এর জন্য দায়ী করে সাধ্বী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমার তাঁর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকে তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু বিরোধীরা আর সংবাদমাধ্যম আমার মন্তব্যকে বিকৃত করেছে।’ এরপরই তিনি রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘একজন সাংসদ আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলে তকমা দিয়েছেন। একজন মহিলা এবং সাংসদ হিসাবে এটা আমার চরিত্রহননের সমান। আমার বিরুদ্ধে আদালতে কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তাও আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া অপরাধের সমান, দেশের বিচারব্যবস্থার অপমান।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘মধ্যপ্রদেশে পা রাখলে পুড়িয়ে মারব’, সাধ্বী প্রজ্ঞাকে খুনের হুমকি কংগ্রেস বিধায়কের]

এরপরেই বিজেপি শিবিরের সদস্যরা সংসদে রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সোচ্চার হন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনার দাবি তুলে বলেন, ‘একজন মহিলা তথা সাংসদকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার থেকেও বড় অপরাধ।’ এদিকে, তখন সংসদে কংগ্রেস ও বিরোধী শিবির থেকে স্লোগান ওঠে ‘গডসে নিপাত যাক, মহাত্মা গান্ধী অমর রহে।’ এদিন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা দু’পক্ষকে শান্ত করতে বলেন, ‘সংসদের সদস্যদের মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement