বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: “ভুয়ো জব কার্ডের (Fake Job Card) সব হিসাব পালটে দেব।” হুঙ্কার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির। তৃণমূলের অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে উত্তরপ্রদেশই শীর্ষে, এই তথ্য সামনে আসতেই মেজাজ হারিয়ে বাংলা নিয়ে বিষোদগার করে প্রসঙ্গ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেবের (Dev) প্রশ্নের জবাবে লোকসভায় লিখিতভাবে সাধ্বী যে তথ্য দিয়েছেন, তাতেই দেখানো হয়েছে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের উত্তরপ্রদেশ শীর্ষে। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে (BJP) আক্রমণে নামে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। বুধবার সংসদ চত্বরে জ্যোতিকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেজাজ হারান। বাংলার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে তিনি দাবি করেন, “উত্তরপ্রদেশের সব ভালো।”
তাঁর নিজের দেওয়া উত্তরেই যে উত্তরপ্রদেশের ভুয়ো জব কার্ডের তথ্য সামনে এসেছে তা মনে করিয়ে দিতেই বিড়ম্বনায় পড়ে যান জ্যোতি (Sadvi Niranjan Jyoti)। পালটা হুঙ্কার দেন,“আমি সব পাল্টে দেব।” ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য অর্থ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার আটকে রাখলেও উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরেও জ্যোতি যোগীরাজ্যের গুণগান করে এড়িয়েই গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জ্যোতি নিজে উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর লোকসভার সাংসদ। তাঁর হুঙ্কারকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, উনি হয়তো জানেন না, একবার লোকসভায় কোনও তথ্য পেশ করা হলে তা লোকসভার সম্পত্তি হয়ে যায়।
শুধু জ্যোতিই নন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংও (Giriraj Singh) মঙ্গলবার বাংলার বকেয়া নিয়ে সুদীপকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এদিন সংসদ চত্বরে তিনিও দাবি করেন, সুদীপকে তিনি এমন কোনও পরামর্শ দেননি। তিনি স্পষ্ট জানান, যতদিন পর্যন্ত হিসাব নিয়ে সন্তুষ্টি না হচ্ছে, ততদিন টাকা দেওয়া হবে না। ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে উত্তরপ্রদেশ শীর্ষে, তাঁর জুনিয়র মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন গিরিরাজও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.