সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের টঙ্ক বিধানসভা আসন থেকে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। সেই নির্বাচনী হলফনামাই এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে নিজেকে ডিভোর্সি বলে ঘোষণা করেছেন শচীন।
২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে শচীন পাইলট তাঁর হলফনামায় স্ত্রী সারা পাইলটের (Sara Abdullah) কথাও উল্লেখ করেছিলেন। সঙ্গে তাঁর সম্পদের বিবরণও দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালে হলফনামায় নিজেকে ডিভোর্সি ঘোষণা করেছেন শচীন। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) সম্পদ পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় শচীন ৩.৮ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ করেছিলেন। এই বছর ২০২৩ সালে তাঁর সম্পত্তি পরিমাণ ৭.৫ কোটি টাকা।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শচীনের। দুই দশকের এই বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। ৪৬ বছরের শচীনের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা এই প্রথম প্রকাশ্যে এল। ওমর আবদুল্লার বোন সারার সঙ্গে শচীন পাইলটের বিয়ে হয়েছিল ২০০৪ সালে।
লন্ডনে এমবিএ পড়ার সময়েই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার মেয়ে সারার সঙ্গে আলাপ হয় শচীনের। তিনি ছিলেন কংগ্রেস পরিবারের ছেলে। তাঁর বাবা প্রয়াত রাজেশ পাইলট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন একসময়। প্রথম দিকে দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে পরিবারের আপত্তি থাকলেও দুই রাজনৈতিক পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয় শচীন-সারার হাত ধরে। তবে রাজনীতির ময়দানে কখনই সক্রিয় হতে দেখা যায়নি সারাকে।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা সাক্ষাৎকারে বার কয়েক দেখা গিয়েছে সারা আবদুল্লাকে। এছাড়া ২০২০ সালে যখন তাঁর দাদা ওমর আবদুল্লার জেল হয়, তখনও কাশ্মীরে ছুটে গিয়েছিলেন সারা। তবে বিচ্ছেদের কথা কখনও প্রকাশ্যে আনতে দেখা যায়নি শচীনকে। মনোনয়নপত্রেই জানা গেল বিচ্ছেদের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.