সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) যখন বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনলেন, তখনও বিষয়টি ততটা গুরুত্ব দিতে চাননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই মনে করছিলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী স্রেফ দলের বিধায়কদের একত্রিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারপর গতকাল বিকেল থেকে এমন কিছু ঘটনা ঘটল যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, মরুরাজ্যে সত্যিই সংকটে কংগ্রেস সরকার। মধ্যপ্রদেশের নাটকের পুনরাবৃত্তি হতে পারে রাজস্থানেও।
কিন্তু কী এমন ঘটল?
এক, গেহলটের সাংবাদিক বৈঠকের পরই রাজস্থানের তিনজন নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করল রাজস্থান সরকারের দুর্নীতিদমন শাখা। অথচ, এই তিনজন বিধায়কই এখনও খাতায় কলমে কংগ্রেস সরকারকেই সমর্থন করছেন। দুই, রাতে মুখ্যমন্ত্রী গেহলট মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকলেন। যে বৈঠকে গেলেন না রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট (Sachin Pilot)। তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে না গিয়ে পাইলট সটান চলে গেলেন দিল্লিতে। সঙ্গে তাঁর অনুগামী অন্তত এক ডজন বিধায়ক। রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের কাজে একেবারেই সন্তুষ্ট নন তিনি। পাইলট ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। যে তিন নির্দল বিধায়কের বিরুদ্ধে গেহলট সরকার তদন্ত শুরু করেছে, তাঁরাও পাইলটের সঙ্গেই দিল্লিতে এসেছেন। সোনিয়ার সাক্ষাৎ না পেলে সরকারের উপর থেকে তাঁরা সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
মধ্যপ্রদশের মতো রাজস্থানেও সরকার গঠন প্রক্রিয়ার একেবারে গোঁড়াতেই গলদ করে রেখেছে কংগ্রেস। পাইলটের নেতৃত্বে দল নির্বাচনে গেলেও ‘সিনিয়র সিটিজেন’ গেহলটকে করা হয় মুখ্যমন্ত্রী। তখন থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন কংগ্রেসের নতুন প্রজন্মের এই নেতা। মধ্যপ্রদেশে সিন্ধিয়া দল ছাড়ার পর পাইলটেরও দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তা যে কংগ্রেসের জন্য একেবারেই শুভ লক্ষণ নয়, তা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.