সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শবরীমালায় মহিলা ভক্তদের প্রবেশ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে মন্দিরের প্রধান পুরোহিতদের সংগঠন ‘থাজামন তান্ত্রী’-দের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চেয়েছিল কেরল সরকার। কিন্তু রবিবার বড়সড় ধাক্কা খেল তাদের সেই উদ্যোগ। কারণ, এদিন মন্দিরের এক ‘তান্ত্রী’ কান্ডারারু মোহনারু এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতের রায়ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এই বিষয়ে আলোচনায় বসা নেহাতই অবান্তর এবং অপ্রাসঙ্গিক।
[মোবাইল ও ব্যাংকে ফের বাধ্যতামূলক হতে পারে আধার কার্ড]
প্রসঙ্গত, এর আগে আয়াপ্পাদেবের এই মন্দিরের প্রাক্তন শাসক অর্থাৎ ‘পান্ডালম রয়্যালস’-দেরও প্রতিক্রিয়া ছিল একই। তাঁদের তরফে শশীকুমার ভার্মা জানিয়েছিলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করতে কেরলের সিপিআই(এম) শাসিত এলডিএফ সরকার ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। কাজেই, এর পর আর আলোচনা চালিয়ে লাভ হবে না। তবে অন্যদিকে, পুরোহিতরা নিমরাজি হলেও মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ বিতর্কে হাত গুটিয়ে বসে নেই আয়াপ্পাদেবের ভক্তমণ্ডলীরা। সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের পালা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল রাজ্যের একাধিক স্থানে। সড়ক অবরোধ করে, জোরগলায় মন্ত্রোচ্চারণ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বহু পুণ্যার্থী। সেই বিরোধিতার পালা এখনও চলছে। তবে তা আর শুধু রাজ্যের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। রবিবার, রাজধানীতে শবরীমালা আয়াপ্পা সেবা সমাজম নামে একটি সংগঠন শীর্ষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে খবর ছিল যে, শবরীমালা নিয়ে আলোচনার জন্য গত সোমবার তান্ত্রী পরিবার এবং ‘পান্ডালাম রয়্যালস’-এর প্রতিনিধিদের ডেকেছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কিন্তু পরে তান্ত্রীদের তরফে কান্দারারু মোহনারু এবং ‘পান্ডালাম রয়্যালস’-এর তরফে শশীকুমার ভার্মা, দু’জনেই জানান যে শবরীমালায় মহিলা ভক্তদের প্রবেশ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা অপ্রাসঙ্গিক। কারণ, এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিশেষ অনুমতির আবেদন দায়ের করতে প্রস্তুত নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগে চেঙ্গানুরে এক বিবৃতিতে মোহনারু জানিয়েছিলেন, ‘‘আমরা বিশেষ অনুমতির আবেদন দায়ের করতে চাই। কিন্তু ‘পান্ডালাম রয়্যালস’-দের বক্তব্য জানার পরই আলোচনা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করব।” অন্যদিকে, ‘পান্ডালাম রয়্যালস’-এর তরফে শশীকুমার ভার্মাও রায়ের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে রাজ্য কংগ্রেসের অবস্থানের পক্ষে এদিন সওয়াল করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা।
[মহাজোটে ধাক্কা! রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধতে নারাজ অখিলেশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.