সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুঘল যুগের ইতিহাস, গান্ধী হত্যা থেকে আম্বেদকরের অবদান কিংবা আরএসএসের নিষিদ্ধ হওয়া। পাঠক্রম থেকে একের পর অধ্যায় বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এবার বাদ যেতে চলেছে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের গীতিকার পাকিস্তানের ‘জাতীয় কবি’ মহম্মদ ইকবালকে (Muhammad Iqbal) নিয়ে একটি অধ্যায়ও! দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল শুক্রবারই এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চূড়ান্ত সম্মতি পেলেই তা বাদ দেওয়া হবে।
১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তান) জন্মগ্রহণ করেন মহম্মদ ইকবাল। তাঁর লেখা ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানটি লেখার পাশাপাশি পাকিস্তানের ‘আইডিয়া’ও ছিল তাঁরই। তাঁকে নিয়েই একটি অধ্যায় রয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের স্নাতক কোর্সের ষষ্ঠ সেমিস্টারে। ‘আধুনিক ভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা’ নামের সেই অধ্যায় থেকে ইকবালকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এবার চূড়ান্ত সিলমোহরের অপেক্ষায়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবিষয়ে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ”যাঁরা দেশকে ভাঙার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তাঁদের সিলেবাসে থাকা উচিত নয়।” আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
সম্প্রতি NCERT’র সিলেবাসে ইতিহাসের বাছাই করা অংশ বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। এর বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। তাদের দাবি, বিজেপি (BJP) নিজেদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে। স্রেফ প্রতিহিংসার মানসিকতা থেকে সিলেবাসে বাদ দেওয়া হচ্ছে গান্ধী হত্যা থেকে আম্বেদকরের অবদান। এই পরিস্থিতিতে এবার সামনে এল ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র গীতিকারের অধ্যায় বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়টি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.