ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের মতো প্রতিবেশী থাকলে তো লড়াই করতেই হবে। যদি দরজার সামনে শত্রু মনোভাবের কেউ দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে তো স্বাভাবিক থাকা যায় না। চিনের সঙ্গে লাগাতার সীমান্ত সংঘাতের আবহে এই কথা শোনা গেল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের (S Jaishankar) মুখে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ থেকে দেশের অন্দরে নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন আরও বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে এই ক্ষেত্রে একেবারেই নজর দেওয়া হয়নি। সেই জন্যই চিনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ছিল উর্ধ্বমুখী। কিন্তু বর্তমান সরকারের মত, পূর্ব লাদাখ-সহ সমস্ত সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ভারত-চিন (India-China) বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।
জয়শংকরের কথায়, “আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টাই প্রতিযোগিতার উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ চিন। এরকম প্রতিবেশী থাকলে লড়াই করা শিখে নিতে হবে। কারণ আমরা যাই বলি না কেন, চিন তো নিজেদের আচরণ বদলাবে না। যদি নিজের দেশের অন্দরে আমরা শক্তিশালী হতে না পারি তাহলে তো বিদেশনীতির ক্ষেত্রেও কোন লাভ হবে না।”
ভারত-চিন সীমান্ত দ্রুত মিটিয়ে নেওয়া উচিত বলে দিনকয়েক আগে মার্কিন সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, “সীমান্তে শান্তি নেই, সেটা সকলেই জানেন। তাহলে কী করে চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকবে? দরজা খুলেই যদি দেখি শত্রু মনোভাবাপন্ন কেউ দাঁড়িয়ে আছে, তাহলে কি স্বাভবিক সম্পর্ক রাখা যায়?” তবে জয়শংকর এই কথা বললেও, গত এক দশকে ভারতের সঙ্গে চিনের বাণিজ্য বেশ উর্ধ্বমুখী। প্রতি বছর গড়ে ১২.৮৭ শতাংশ বেড়েছে দুই দেশের বাণিজ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.