ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকায় নয়া সূর্যোদয় হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সদর্থক পরিবর্তন ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে,’ রবিবার সিঙ্গাপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে জম্মু কাশ্মীর ইস্যুতে বিজেপি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন এস জয়শংকর। একই সঙ্গে জানালেন, এক দেশ হওয়া সত্ত্বেও একাধিক প্রগতিশীল পদক্ষেপ জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে (Ladakh) লাগু হওয়ার পথে প্রধান বাধা ছিল আদ্যিকালের এই আইন। যা মুছে যাওয়ায় সেখানকার মানুষ এখন উপকৃত হচ্ছেন। এই পরিবর্তন আপনারাও দেখতে পাচ্ছেন।
৩ দিনের সফরে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানেই জম্মু কাশ্মীর প্রসঙ্গে বার্তা দেন তিনি। ৩৭০ ধারার জেরে ২ টি প্রধান সমস্যার কথা তুলে ধরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই আইনের ফলে জম্মু কাশ্মীরে ক্রমবর্ধমান ভাবে বাড়ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও সন্ত্রাসবাদ। যা গোটা দেশের নিরাপত্তায় অন্যতম সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাশাপাশি, দেশের জন্য একাধিক প্রগতিশীল পদক্ষেপ এই আইনের ফলে জম্মু কাশ্মীরে লাগু করা যাচ্ছিল না। সব মিলিয়ে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ এক লহমায় সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। ধীরে ধীরে এর সুবিধা স্পষ্ট হচ্ছে গোটা বিশ্বের কাছে।
২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে ভাগ করা হয় দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। একটি জম্মু কাশ্মীর ও অন্যটি লাদাখ। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ দেশে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিলেও বিদেশমন্ত্রীর দাবি, এর জেরে বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে। যা দেশ তো বটেই, গোটা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে।
প্রগতির খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, এই আইন প্রত্যাহারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১.৫ কোটি পর্যটক উপত্যকায় এসেছেন, যার মধ্যে ২৫ হাজার বিদেশি। ২৯ হাজার ৮১৩ জন সরকারি চাকরি পেয়েছেন। ২০১৮ সালে যেখানে মাত্র ৯,২২৯ টি প্রকল্পের কাজ হয়েছিল, সেখানে ২০২২-২৩ সালে ৯২,৫৬০টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে মাত্র ২২০ কোটি টাকা এই রাজ্যে বিনিয়োগ হয়েছিল ২০২২-২৩ সালে সেটা পৌঁছেছে ২,২০০ কোটি টাকায়। ৪ বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে। ৫০টিরও বেশি নতুন কলেজ খোলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.