সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর মসনদে বসার আগে থেকেই দেখা দিয়েছে শুল্ক সংশয়। এই পরিস্থিতিতে এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ট্রাম্প জেতার পরে তিনি দাবি করেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ভারত মোটেই চিন্তিত নয়। এবার তিনি বললেন, ”দুই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির মধ্যে সবটাই আসলে দেওয়া-নেওয়া।” সিআইআই পার্টনারশিপ সামিটে একথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন ডলার ব্যবহার না করলেই ১০০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উপরে। ৯ সদস্যের ব্রিকসে রয়েছে ভারতও। তার পর থেকেই বেড়েছে সংশয়। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন জয়শংকর। তাঁর কথায়, ”দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে সব সময়ই থাকে দেওয়া ও নেওয়া। যদি আমরা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তির দিকে তাকাই তাহলে বুঝতে পারব, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভরসা দুই-ই বেড়েছে।” সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, ”ভারতের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।”
বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। ফোন করে তাঁকেও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রাম্প জেতায় নয়াদিল্লি যথেষ্ট খুশি বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। জয়শংকর এর আগে বলেছিলেন, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর আমেরিকার বর্তমান অবস্থা দেখে অনেক দেশই খুব উদ্বিগ্ন। তবে স্পষ্ট বলে দিতে পারি, আমরা মোটেই চিন্তিত নই।” সেই আত্মবিশ্বাস এদিনও দেখা গিয়েছে তাঁর কথায়।
এদিকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প ভারতকে ‘খুব বড় অপব্যবহারকারী’ বলে তোপ দেগেছিলেন। আমদানি শুল্ক নিয়েই তাঁর এমন মন্তব্যের পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। রিপাবলিকান নেতা বলেছিলেন, ”ওরা (ভারত) নিজেদের খেলায় একেবারে শীর্ষে। এবং সেটা ওরা আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে। ভারত খুবই কড়া। ব্রাজিলও কড়া। কিন্তু সবচেয়ে কড়া চিন। আমরা চিনের দিকে লক্ষ রেখেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.