ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তান (Pakistan)। এটা জেনেও ২০০৮ সালের ওই হামলার ঘটনার পর হাত গুটিয়ে বসে ছিল ইউপিএ সরকার (UPA Government)। কংগ্রেস জমানায় দেশের বিদেশনীতির বেহাল দশার কথা তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তাঁর অভিযোগ, ‘দীর্ঘ আলোচনার পর সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয়, পাকিস্তানের উপর পালটা হামলা করার চেয়ে চুপচাপ বসে থাকাই লাভজনক।’
২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শদাতা ছিলেন জয়শংকর। তৎকালীন সময়ের কথা তুলে ধরে মঙ্গলবার হায়দরাবাদে জাতীয়তাবাদী ভাবধারার এক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “মুম্বই হামলার পর আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। এই ইস্যুতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তর্ক চলে। সমস্তরকম বিকল্প পথ উঠে আসে আলোচনায়। সব দিক খতিয়ে দেখার পরও শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিই, আমরা কিছুই করব না। কিছু না করার সিদ্ধান্তের পিছনে কারণ হিসেবে জানানো হয়, পাকিস্তানে হামলা করলে তাঁর অনেক বেশি মুল্য চোকাতে হবে। সুতরাং হামলা না করাই শ্রেয়।” এরপর উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, “কংগ্রেসের বিষয়ে এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন।”
একইসঙ্গে তিনি দাবি বলেন, ইউপিএ জমানায় দেশের বিদেশনীতি ‘সন্দেহ’ থেকে আত্মবিশ্বাসের পর্যায়ে পৌঁছেছে। মোদি জমানায় আমরা যখন প্রথম দেশের সীমানা পার করেছিলাম, সেদিনই সন্দেহ থেকে আত্মবিশ্বাসের পথে প্রথম পদক্ষেপ ছিল। এরপর আমরা ফের সীমা পার করেছি। এ প্রসঙ্গে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের কথা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানান, ভারত এখন গোটা বিশ্বের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছে। দেশ যে এখন শুধু অস্ত্র আমদানিকারী দেশ নয়, অস্ত্র রপ্তানিকারী হয়ে উঠেছে, সে কোথাও জানাতে ভোলেননি জয়শংকর।
এছাড়াও দেশের গণতন্ত্র নিয়ে বার বার পশ্চিমী দেশগুলির সংবাদমাধ্যমের সমালোচনারও কড়া জবাব দিয়েছেন জয়শংকর। তিনি বলেন, “আমি মনে করি তারা তথ্যের অভাবের কারণে দেশের গণতন্ত্রের সমালোচনা করে। আমি তো দেখলাম গরমের মধ্যে দেশে কেন নির্বাচন হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে ওরা। ওদের বলতে চাই, গরমের মধ্যেও আমাদের দেশের সর্বনিম্ন ভোট দানের হার ওদের সর্বোচ্চর চেয়েও বেশি।” পাশাপাশি জানান, “আমাদের ঘরোয়া রাজনীতি বৈশ্বয়িক আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব রাজনীতি মনে করছে ভারতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। পশ্চিমী দেশগুলি ভাবছে ওরা এদেশের রাজনীতির অংশ। কিন্তু সময় এসেছে ওদের জবাব দেওয়ার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.