ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে সেনা সরানো এবং সমস্যা সমাধান করতে একমত হয়েছে ভারত এবং চিন। মউ সই করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে সেনা সরানোর প্রক্রিয়াও। কিন্তু কবে সীমান্তে শান্তি ফিরবে? সামরিক তৎপরতা শেষে কবে স্বাভাবিক টহলদারি শুরু হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়? সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে মুখ খুলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ একমত হয়। মোদির সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানেই তিনি বলেন, ”গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ।” তিনি আরও জানান, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। চিনের তরফেও একই কথা জানানো হয় বিবৃতি জারি করে।
তার পরেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, ১০-১২টি অস্থায়ী নির্মাণ এবং ১২টি তাঁবু রয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুই পাশে। তার মধ্যে আপাতত একটি তাঁবু সরানো হয়েছে। আগামী কয়েকদিন সময় লাগবে সীমান্ত থেকে সমস্ত কিছু সরিয়ে ফেলতে। ইতিমধ্যেই চারদিং নালা থেকে পশ্চিমে সরেছে ভারতীয় সেনা। পূর্বদিকে সরে গিয়েছে চিনা সেনাও। চলতি সপ্তাহের শেষেই হয়তো সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে সূত্রের খবর।
কিন্তু সীমান্তে পুরোপুরি সামরিক তৎপরতা কমবে কবে? জয়শংকরের জবাব, “২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেমন পরিস্থিতি ছিল, সেটাই আবার ফেরানো হবে। ডেমচক এবং দেপসাংয়ে শুরু হবে স্বাভাবিক টহলদারি। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। সেনা সরিয়ে টহলদারি শুরু করার ক্ষেত্রে এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সেই নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।” তবে চিনের মোকাবিলা করতে যেভাবে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে সেনা, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জয়শংকর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.