সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম বিবাদে ফের ধাক্কা চিনের। চিনের চাল ভেস্তে ভারতের পাশেই দাঁড়ালো বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়া । ব্রিকস সামিটের আগেই চিনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সাফ জানিয়েছেন, ডোকলামে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। নিজেদের মধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নিক দুই দেশ। এই বক্তব্যে সাফ হয়ে গেল যে, সীমা বিবাদ নিয়ে ভারতের উপর কোনও চাপ সৃষ্টি করবে না মস্কো। ডোকলাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতকে চাপ দিক রাশিয়া, এমনটাই চাইছিল চিন। এনিয়ে বেশ কয়েকবার মস্কোর সঙ্গে দরবারও করেছে বেজিং। তবে দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতের পাশেই যে থাকছে ক্রেমলিন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দেশটি।
[উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিতে যুদ্ধবিমান থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার]
চিনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে দেনিসোভ বলেন, “ভারত ও চিন দু’দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার। তাই দু’দেশের মধ্যে সীমা বিবাদ কোনও মতেই কাম্য নয়। তবে এ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যেই সমস্যা মিটিয়ে নিক বেজিং ও দিল্লি।” বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ঘুরিয়ে চিনকেই বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। ডোকলাম বিবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার বেজিংয়ের চেষ্টায় বাদ সেধেছে মস্কো। ফলে ব্রিকস সামিটে ভারতকে চাপে ফেলার চিনা চেষ্টা বিফল হয়েছে। রবিবার থেকে চিনে শুরু হতে চলেছে পঞ্চদেশীয় ব্রিকস সামিট। উপস্থিত থাকছেন ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা ও চিনের প্রতিনিধিরা।
[‘পাকিস্তানে থাকলেও দাউদকে ধরতে ভারতকে কেন সাহায্য করা হবে?’]
পেশিশক্তি থেকে শুরু করে ‘প্রোপাগান্ডা’- কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডোকলামের দখল নিতে চেষ্টার খামতি রাখেনি চিন। ভারতকে বেকায়দায় ফেলার হেন কোনও পন্থা নেই যা অবলম্বন করেনি কমিউনিস্ট দেশটি। তবে দিল্লির অনড় অবস্থানে ও ভারতীয় সেনার কৌশলে বিফল হয়েছে চিনের চাল। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে আগ্রাসী দেশ হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। যাই হোক না কেন ব্রিকস সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এছাড়াও রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে জড়িয়ে কোনও আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছে বেজিং। ফলে এবার ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে চিন যে পাকিস্তানের মদত নেবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.