Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kerala

মাটি খুঁড়তেই ‘ঐতিহাসিক’ রত্নভাণ্ডার! বিপুল সোনা, রুপো দেখে ‘থ’ মনরেগা শ্রমিকরা

১০০ দিনের কাজ চলাকালীন উঠে এল শতাব্ধী প্রাচীন রত্নভান্ডার।

Rural workers found gold and silver coins during MGNREGA work in Kerala

উদ্ধার হওয়া গুপ্তধন।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 14, 2024 6:49 pm
  • Updated:July 14, 2024 6:49 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাটি চাপা সুপ্ত রহস্য হঠাৎ যেন জেগে উঠল কোদালের কোপে। ১০০ দিনের কাজ চলাকালীন মাটি কোপাতে গিয়ে উঠে এল শতাব্ধী প্রাচীন রত্নভান্ডার। তার ভিতর থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণ সোনা, রুপোর টাকা-সহ নানান সামগ্রী। গত শুক্রবার কেরলের কন্নুর জেলায় এমন ঘটনার কথা সামনে আসায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে এক জলাধার খনন করছিলেন মনরেগা শ্রমিকদের একটি দল। সেই সময়ই শ্রমিকদের কোদালে ভারী কিছু লাগার শব্দে সতর্ক হয়ে যান শ্রমিকরা। মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে উদ্ধার হল বড়সড় গোলাকার এক ধাতব বস্তু। প্রথমে জিনিসটিকে বোমা ভেবে ভয় পেয়ে যান শ্রমিকরা। সেটিকে দূরের দিকে ছুঁড়ে ফেলে দেন। মাটিতে পড়তেই ভেঙে যায় সেই ধাতব পাত্র। তার ভিতর দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ সোনা ও রুপোর টাকা। মাটির নিচ থেকে এমন গুপ্তধন উদ্ধারের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় প্রশাসন। শুক্রবারের পর শনিবারও ওই স্থান থেকে বেশকিছু গুপ্তধন পাওয়া যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের হিংসার বলি মণিপুরে, এবার সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত CRPF জওয়ান]

জানা গিয়েছে, ওই ধাতব পাত্র থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭টি মুক্তোর হার, ১৩টি সোনার পদক। এর মধ্যে ৪টি পদক ঐতিহ্যবাহী গহনার অংশ ‘কাশুমালা’, এক জোড়া কানের দুল এবং প্রচুর রৌপ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে। ১০০ দিনের কাজে শ্রমিক আশিতা বলেন, সোনা-রুপো দেখে আমরা রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন আমরা পঞ্চায়েত সভাপতিকে বিষয়টি জানাই। এরপর পঞ্চায়েত আধিকারিকরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত জিনিসপত্র নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তালিপারম্বা আদালতে পেশ করে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, ওই গুপ্তধন অন্তত ২০০ বছরের পুরানো।

ওই স্থানে আর কোনও গুপ্তধন আছে কি না তার বিস্তারিত তদন্তে নেমেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক বলেন, ওই স্থান থেকে যে সব সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে চমকপ্রদ হলেও সেভাবে ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা তৎকালীন সময়ে কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল এই সম্পত্তি। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী তা মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ছিল। গোটা বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পরই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারব আমরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement