সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের কন্যা রুবাইয়ার অপহরণকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হল ইয়াসিন মালিককে। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইয়াসিন-সহ তিনজনকে চিহ্নিত করেছেন রুবাইয়া। ১৯৮৯ সালে তাঁকে অপহরণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদীর মুক্তির বিনিময়ে রুবাইয়াকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৯০ সালের প্রথমদিকে এই অপহরণ মামলার দায়িত্ব পেয়েছিল সিবিআই। সেই মামলায় প্রথমবার হাজিরা দিয়েছেন রুবাইয়া।
গত ২৫শে মে জঙ্গি সংগঠন জেকেএলএফের প্রধান ইয়াসিনকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। মে মাসের ১৯ তারিখ সন্ত্রাসবাদীদের মদত এবং অর্থসাহায্য মামলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত। সেখানে নিজেই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন মালিক। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়াসিন মালিককে দু’টি যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিলেন বিচারক। একইসঙ্গে, আরও ১০টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জেকেএলএফ প্রধানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। তিনটি সাজাই সমান্তরাল ভাবে চলবে বলে জানিয়েছিল আদালত।
বহুদিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম চালানোর ও তা প্রচার করার অভিযোগ রয়েছে জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা ইয়াসিন মালিকের (Yasin Malik) বিরুদ্ধে। এই কারণে একাধিকবার গৃহবন্দিও করে রাখা হয় তাকে। ইয়াসিনের সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে (JKLF) আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বছর দুই আগেই তাকে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তারপর থেকে জেলেই রয়েছে ইয়াসিন।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় জোর ধরপাকড় শুরু করে ভারতীয় সেনা। তখনই ইয়াসিন মালিক-সহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জঙ্গিযোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সেসময়ে গ্রেপ্তার হয় ইয়াসিন। প্রসঙ্গত, রুবাইয়া অপহরণ মামলার অফলাইন শুনানি হোক, এমনটাই চেয়েছিল ইয়াসিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.