সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর শব্দে শব্দে আজও রঙিন হয়ে ওঠে রোম্যান্সের গোলাপকুঞ্জ। কিন্তু শব্দ যে উর্দু। অতএব তা বাদ দিতে হবে পাঠ্যপুস্তক থেকে। সম্প্রতি আরএসএস-এর এমন দাবি ঘিরেই জমে উঠল বিতর্ক।
[ বসিরহাটে অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি বাঁচাতে এগিয়ে আসেন মুসলিমরাই ]
ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত মিশে আছেন গালিব। কবিতা-গজল-গানে আজও যেন অজান্তেই তিনি চলে আসেন। সেই গালিবেই এবার কোপ পড়তে চলেছে। কেননা হিন্দি পাঠ্যপুস্তকে উর্দু বা পারসি শব্দ চাইছে না ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’। আরএসএস-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত দীননাথ বাতরাই এই ন্যাসের প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি পাঠ্যপুস্তক তিনি খুঁটিয়ে পড়েছেন। এবং সেখানে পেয়েছেন বহু উর্দু ও পারসি শব্দ। এমনকী ঢুকে পড়েছে ইংরেজিও। তাঁর দাবি, এর ফলে ভাষাশিক্ষা ক্রমশ বোঝা হয়ে উঠছে পড়ুয়াদের কাছে। মজা করে ভাষা শেখা তো দূরের কথা, দিনে দিনে হিন্দির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। আর তাই হিন্দি পাঠ্যপুস্তক শুদ্ধিকরণের ডাক দিয়েছেন তিনি। তাতে অন্যান্য শব্দে কোপ তো পড়ছেই, এমনকী নজরে আছেন মির্জা গালিবও। তাঁর কবিতাও বইতে থাকুক, তা একদমই চায় না ন্যাস। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ন্যাস একটি বুকলেটও বের করেছে। যেখানে স্পষ্টতই গালিবের কবিতা বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
[ সর্বনাশ! ফাঁস হল ১২ কোটি Jio গ্রাহকের আধার নম্বর! ]
এই মর্মে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকেরও দ্বারস্থ হয়েছে সংগঠনটি। পাঠ্যপুস্তক খতিয়ে দেখার সময়, এই বিষয়গুলি বাদ দেওয়ারই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও দীননাথ বাতরার বিরুদ্ধে শিক্ষায় গেরুয়াকরণের অভিযোগ উঠেছে। ইতিহাসে শুদ্ধিকরণের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবার নজর ভাষায়। যদিও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.