সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯২৫ সালে সংগঠন তৈরির পর থেকে যে পথে হাঁটা শুরু হয়েছিল। আজ ৯৫ বছর বাদেও সেই একই পথে হাঁটছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)। গোটা বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কে কাঁপছে তখন প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরত্ব বজায় রেখে চুপচাপ কাজ করে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছড়িয়ে থাকা আরএসএসের স্বয়ংসেবকরা। তাঁদের কট্টর সমালোচকরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গোমূত্র ও গোবর খাওয়া মানুষগুলি কোথায় গেলে বলে কটাক্ষ করছেন! তখন সামর্থ্য অনুযায়ী লকডাউনের ফলে সমস্যায় পড়া প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন স্বয়ংসেবকরা। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে শুরু করে কেরলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে ঘুরে ঘুরে ধর্মমত নির্বিশেষে সমস্ত গরিব মানুষের হাতে স্যানিটাইজার, মাস্ক ও খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন। আর এই কাজগুলি করছেন কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনগুলির নিয়ম মেনেই।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই এই যুদ্ধে সরকারের পাশে থেকে স্বয়ংসেবকদের লড়াই করার নির্দেশ দেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক ভাইয়াজি যোশী। তাঁর তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দেশবাসীকে রক্ষা করতে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আরএসএস প্রশাসনকে সমস্ত রকম সাহায্য করবে। দেশজুড়ে চলা ৭০ হাজার শাখার প্রতিটি স্বয়ংসেবককে এই কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতে বলা হয়েছে। আর তা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলার জন্য যে গাইডলাইন দিয়েছে সেটা মেনেই। গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাঁরা যাতে অযথা আতঙ্কিত না হন তারদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
একই অনুরোধ জানান সংঘপ্রধান ডা. মোহন ভাগবতও। দেশের এই বিপদের সময় নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। আরএসএসের সহ-সরকার্যবহ ডা. কৃষ্ণগোপাল স্বয়ংসেবকদের স্থানীয় শ্রমিক, পড়ুয়া বয়স্ক মানুষদের বাড়িতে খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এরপরই দেশজুড়ে সাধারণ ও গরিব মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিতে দেখা গিয়েছে স্বয়ংসেবকদের। কোথাও তাঁরা মাস্ক তৈরি করে মানুষের মধ্যে বিলি করছেন। তো কোথাও আবার রান্না করা খাবার বিলি করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কয়েকটি জায়গায় আবার সরকারি হাসপাতাল পরিষ্কার করতে দেখা যায় তাঁদের। শনিবার সকালে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে এই রকমই কয়েকজন স্বয়ংসেবককে দেখা গেল পুলিশ কর্মীদের হাতে চা ও খাবার তুলে দিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.