ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই বিজেপি নেতার ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক। ভারতের সমালোচনায় সরব হয়েছে মুসলিম বিশ্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এহেন সময়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন আরএসএস নেতা রামমাধব। তাঁর কথায়, ভারতীয় সমাজের সঙ্গে একাত্ম হতে গেলে ‘কাফির-জেহাদ-উম্মাহ’–এই তিনটি ধারণা পালটে ফেলতে হবে মুসলিমদের। এর অন্যথায় হিন্দুরা হাজার বছরের ইসলামিক অত্যাচারের প্রসঙ্গ বারবার তুলবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রামমাধব বলেন, কাফির (বিধর্মী), জেহাদ (‘পবিত্র’ লড়াই) ও উম্মাহ (রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বে ধর্মভিত্তিক সমূহ) এই তিনটি ধারণা বদলে ফেললেই বৃহত্তর ভারতীয় সমাজে মসুলিমদের অন্তর্ভুক্তি সম্ভব। আর তেমনটা না হলে কয়েকশো বছর আগে যে ধ্বংসলীলা (মুসলিম হানাদারদের হাতে) হয়েছে সেই কথা হিন্দুরা বারবার বলবে। ভারতের মুসলমানরা যদি এটা বুঝতে পারে যে তাদের শিকড় এদেশে মুসলিম হানার অনেক আগে থকেই রয়েছে, তাহলেই তাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে পারবেন।
উল্লেখ্য, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বহির্বিশ্ব থেকে ভারতের উপর চাপ বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি এই মন্তব্যের জেরে দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাটে আত্মঘাতী হামলার হুমকি দিয়েছে আল কায়দা। এহেন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রামমাধব। শুধু তাই নয়, জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রসঙ্গ তুলে রামমাধব বলেন, “রাম জন্মভূমি ইস্যুতে আমরা (হিন্দু-মুসলিম) একমত হতে পারিনি, তাই একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা (বাবরি ধ্বংস) ঘটে যায়। আমি মনে করি জ্ঞানবাপী আমাদের সকলের জন্য নতুন সুযোগ। জ্ঞানবাপী, কাশি বিশ্বনাথ, মথুরা এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সম্প্রতি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, সব মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার প্রয়োজন নেই। ফলে মনে করা হচ্ছিল, জ্ঞানবাপী ও মথুরা নিয়ে সুর নরম করেছে সংঘ। কিন্তু এদিন রামমাধব সাফ করে দিয়েছেন যে ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ গড়ার লক্ষ্য থেকে একচুলও নড়েনি সংঘ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.