সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি এবং সংঘের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কথা এবার প্রকাশ্যেই স্বীকার করল RSS। তবে সংঘের দাবি, এই সমস্যা ‘পারিবারিক’। দ্রুত সেটা মিটেও গিয়েছে। পরিবারের লোকের মধ্যে বিবাদ হলে যে ভাবে তা মিটিয়ে ফেলা হয়, এ ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার মীমাংসা করে ফেলা হয়েছে।
বিজেপির আদর্শগত ভিত্তি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। লোকসভা ভোটের মুখে দলে সেই সংঘের ভূমিকাকেই এবার একপ্রকার অস্বীকার করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, “বিজেপি এখন যথেষ্ট সক্ষম। আরএসএসের সাহায্য ছাড়াও দল হিসাবে চলতে পারে।” বিজেপি সভাপতির কথায়, “শুরুতে আমরা অক্ষম ছিলাম। হয়তো আকারে ছোট ছিলাম। আরএসএসের দরকার পড়ত। কিন্তু আজ আমরা অনেক বড়। অনেক সক্ষম। বিজেপি এখন নিজেদের চালাতে জানে। সেটাই আগের বিজেপির সঙ্গে আজকের বিজেপির পার্থক্য।”
বলা বাহুল্য, নাড্ডার সেই মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি আরএসএস। মনে করা হচ্ছে, বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্যের পর লোকসভা নির্বাচনে সংঘের স্থানীয় স্তরের কর্মীরা সেভাবে সক্রিয় হননি। বিজেপির হয়ে কাজ করা তো দূর, কোনওরকম সমন্বয় সাধনও করা হয়নি। দু’শিবিরের মধ্যে দূরত্বের কারণেই যে কর্মীরা বসে গিয়েছিলেন তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে আরএসএস নেতৃত্ব। আরএসএস বসে যাওয়ার ফলেই লোকসভায় বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
এবার সেই নিয়ে মুখ খুলল আরএসএস। সংঘের জাতীয় মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর বলেন, বিজেপি এবং আরএসএসের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। পরিবারের লোকের মধ্যে বিবাদ হলে যে ভাবে তা মিটিয়ে ফেলা হয়, এ ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার মীমাংসা করে ফেলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “বিজেপি এবং আরএসএসের বিশ্বাস ও লক্ষ্য একই, তাই আমাদের একই জমিতে থাকা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.