Advertisement
Advertisement
শিক্ষানীতি

কেন্দ্র পিছু হটলেও, পাঠক্রমে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার দাবিতে অনড় আরএসএস

লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা সংঘের৷

RSS announces their fight for Central draft Education Policy

ছবি প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 4, 2019 6:05 pm
  • Updated:June 4, 2019 6:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভ জেরে পাঠক্রমে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার পথ থেকে পিছু হটেছে কেন্দ্র৷ শিক্ষানীতির খসড়া প্রস্তাবে হিন্দিকে ঐচ্ছিক হিসাবেই রাখা হয়েছে৷ বিরোধীদের চাপের মুখে কেন্দ্র নতিস্বীকার করলেও, এখনই হাল ছাড়তে নারাজ আরএসএস৷ সংঘের একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, হিন্দিকে দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠা দেওয়ার লড়াই জারি রাখবে তারা৷ এবং সর্বতভাবে এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে সংঘ৷

[ আরও পড়ুন: হারের জেরে বিধ্বস্ত মহাজোট, উপনির্বাচনে আলাদা লড়বে সপা-বসপা! ]

Advertisement

এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের স্মরণে এসেছে, গতবছর সংঘচালক মোহন ভগবতের একটি বক্তব্য৷ যেখানে তিনি নয়া শিক্ষানীতি প্রণয়নের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন৷ সরকারের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এই নীতি প্রণয়নের সময় চলে যাচ্ছে৷ দাবি করেছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতির ছাপ থাকা বাধ্যতামূলক৷ হিন্দি ও সংস্কৃতকে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন৷ ভগবতের এই বক্তব্যের তিনমাসের মধ্যে গত জানুয়ারিতেই শিক্ষানীতির খসড়া তৈরি করে ফেলে কেন্দ্রের মোদি সরকার৷ তবে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, তা প্রকাশ্যে আনেননি মোদি-শাহরা৷

[ আরও পড়ুন: হারের জন্য পাইলটকে দায়ী করলেন গেহলট, সংকটে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার ]

দ্বিতীয়বার বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির তখতে ফেরার পরেই শিক্ষানীতির খসড়া প্রকাশ্যে আনে মোদি সরকার ২.০। সূত্রের খবর, যে রাজ্যগুলিতে হিন্দি প্রধান ভাষা নয়, সেখানে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাধ্যতামূলক করা হয় খসড়া প্রস্তাবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশের একাধিক রাজ্যে৷ তামিলনাড়ু-সহ দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে #StopHindiImposition এবং #TNAgainstHindiImposition টুইটারে রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়। বিজেপির মুখোশ খুলে পড়েছে বলে সমালোচনা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি চাপিয়ে দিলে দেশে বিভাজন তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন স্ট্যালিন। 

প্রবল চাপের মুখে পড়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর টুইট করে জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। নতুন যে শিক্ষানীতির কথা বলা হচ্ছে, তা খসড়া রিপোর্ট মাত্র। সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। খসড়া খতিয়ে দেখার পরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জোর করে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হবে না। দেশব্যাপী বিরোধ ছড়িয়ে পড়ায় অবশেষে, পিছু হটে কেন্দ্র৷ খসড়া প্রস্তাবে হিন্দিকে ঐচ্ছিক হিসাবে রাখা হয়৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement