সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালো টাকা দেশে ফেরানো হবে। লোকসভা ভোটের আগে এটাই ছিল নরেন্দ্র মোদির অন্যতম প্রতিশ্রুতি। তিন বছরে কী করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলগুলির এই প্রশ্নর জবাব আদালতে দিল কেন্দ্র সরকার। সুপ্রিম কোর্টে সরকার জানিয়েছে গত তিন বছরে প্রায় ৭২ হাজার কোটি কালো টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই অর্থের পুরোটাই লুকানো ছিল। নোট বাতিল পর্বে কালো টাকা উদ্ধার অভিযান গতি পেয়েছে বলে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে।
সুইস ব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকা উদ্ধার হবে। বাজেয়াপ্ত টাকা পাবেন প্রত্যেক ভারতবাসী। তাদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পৌঁছে যাবে। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্য ভোলেনি দেশবাসী। তারপর যমুনা দিয়ে অনেক জল গড়ালেও কালো টাকা ফেরানোর বিষয়টি প্রতিশ্রুতিই থেকে গিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের অপরাগত বুঝে অমিত শাহও একবার বলেছিলেন এটা কথার কথা। বিরোধী তা শুনবে কেন। কালো টাকা নিয়ে বিরোধীদের ক্রমাগত প্রশ্নবাণের যুতসই ব্যাখ্যা কখনই দিতে পারেনি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। তার জবাবে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দেয় অর্থমন্ত্রক। সেখানে জানানো হয় গত তিন বছরে ৭১,৯৪১ কোটি কালো টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার পুরোটাই লুকোনো অবস্থায় ছিল। নোট বাতিলের সময় মাত্র দুমাসে ৫,৪০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হয় ৩০৩ কেজি সোনা। তিন বছরে দেশের নানা প্রান্তে আয়কর হানায় উদ্ধার হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে নতুন নোট আসার পর ১১০ কোটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বেআইনি অর্থ উদ্ধার নিয়ে সিবিআই এবং ইডি ৪০০টি মামলা করেছে।
কেন্দ্রর কালো টাকা উদ্ধারের এই হিসাব সবটাই দেশের মধ্যে থেকে। যা মোট কালো টাকার অতি সামান্য অংশ। বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকার কী হল। তার অবশ্য কোনও জবাব দেয়নি কেন্দ্র। এমনকী কীভাবে বাইরে থেকে বিপুল কালো টাকা ফেরানো হবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.