অরূপ বসাক, মালবাজার: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩,৬০০ মিটার। এবার উত্তর সিকিমেও দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের! গামটাংপুর নাগা এলাকায় বনদপ্তরের ট্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এক পূর্ণবয়স্ক বাঘের ছবি। উচ্ছ্বসিত বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
স্রেফ দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনেই নয়, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সন্ধান মিলেছিল আগেই। বছর দুয়েক আগে কালিম্পংয়ে লাভার কাছে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায়। পরবর্তীকালে বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে সিকিম লাগোয়া দুর্গম নেওড়াভ্যালির জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসায় বনদপ্তর। এবার আর একবার নয়, বরং ২৪ ঘণ্টায় জঙ্গলের তিনটি পৃথক জায়গায় বাঘের ছবি ধরা পড়ে। পাওয়া যায় বাঘের পায়ের ছাপও। কিন্তু, গত এক বছরে ওই এলাকায় আর বাঘের হদিশ মেলেনি।
তাহলে কি নেওড়াভ্যালিতে সে বাঘটি দেখা গিয়েছিল, সেই বাঘটিই ঢুকে পড়েছে উত্তর সিকিমের গামটাংপুর নাগা এলাকায়? খতিয়ে দেখছে সিকিমের বনদপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, গত ছয়মাসে উত্তর সিকিমের গামটাংপুর নাগা এলাকা বা ওই এলাকার আশেপাশে লাগোয়া ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়েনি। তাই নেওড়াভ্যালির বাঘটি যে সিকিমে ঢুকে পড়েনি, একথা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে সে যাই হোক, সমুদ্র থেকে সাড়ে তিনহাজার মিটার উঁচুতেও বাঘের সন্ধান মেলায় উচ্ছ্বসিত বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
সুন্দরবনের বাদাবনেই সাধারণত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখতে পাওয়া যায়। সমতল থেকে কয়েক হাজার মিটার উঁচুতেও কি বাঘ থাকতে পারে? এই ঘটনায় আশ্চর্যের কিছু নেই। অন্তত তেমনটাই বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু। তিনি জানিয়েছেন, যেকোনও পরিবেশেই বাঘ মানিয়ে নিতে পারে। দ্রুত নগরায়ণের ফলে এমনিতে সমতলে বনাঞ্চলের পরিমাণ দ্রুত কমছে। জঙ্গলের খাবারেরও অভাব। তাই খাবারের সন্ধানে সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় হাজির হয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। প্রসঙ্গত, উত্তর সিকিমের পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণ চমরি গাই পাওয়া যায়। যা বাঘের অত্যন্ত প্রিয় খাবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.