সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলে যে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়, এনিয়ে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু খোদ খাদ্য দপ্তর এমন অভিযোগ তুলেছে, এমন ঘটনা নিকটবর্তী অতীতে বিরল। রবিবার মধ্যপ্রদেশের খাদ্য দপ্তর দিল্লি-ভোপাল শতাব্দী এক্সপ্রেসে অভিযান চালায়। রেলের প্যানট্রি থেকে কিছু কাঁচামালের নমুনা সংগ্রহ করেন দপ্তরের অফিসাররা। অভিযোগ, সেগুলি খাদ্যের অনুপযুক্ত। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু পচা কাঁচামাল।
জানা গিয়েছে, অভিযান চলাকালীন একাধিক পচা কাঁচামাল খুঁজে পান খাদ্য দপ্তরের অফিসাররা। সেগুলি দিয়েই খাবার তৈরি হচ্ছিল। ওই কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। এছাড়াও তাঁরা দেখতে পান, খাবার তৈরির জায়গাটি বেশ অস্বাস্থ্যকর। ট্রেনের রান্নাঘরে গিয়ে দেখা যায়, যাঁরা খাবার তৈরি করছেন বা খাবার তৈরিতে সাহায্য করছেন, তাঁরা কেউ গ্লাভস পরে নেই। খাদ্য দপ্তরের অফিসাররা পেঁয়াজ ও পনীর-সহ অন্য মালমশলারও নমুনা সংগ্রহ করেন। সেগুলি সরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ট্রেনের রান্নাঘর থেকে ২৫ কিলোগ্রাম পচে যাওয়া পেঁয়াজ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি সঙ্গে সঙ্গেই নষ্ট করে দিয়েছেন অফিসাররা।
কিছুদিন ধরেই শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই রবিবার অভিযান চালান খাদ্য দপ্তরের অফিসাররা। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনের রান্নার দায়িত্ব সামলায় বৃন্দাবন ফুড প্রোডাক্টস। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারাই যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করে। ফুড ইন্সপেক্টর রবি কুমার জানিয়েছেন, পচা খাবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ও নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগেও একবার শতাব্দী এক্সপ্রেসে পচা খাবার যাত্রীদের দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর শেষের দিকে পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসে পচা বিরিয়ানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যাত্রীদের অভিযোগ, পচা বিরিয়ানি দেওয়ায় তাঁরা খেতে পারেননি। টিকিটের সঙ্গে খাবারের দাম নেওয়া হয় এইসব ট্রেনগুলিতে। তা সত্ত্বেও বারবার খারাপ খাবার দেওয়া হয়। অনেক সময় পচা খাবারও দেওয়া হয়। ঘটনায় ঠিকা ক্যাটারিং সংস্থার পচা খাবার দেওয়া নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় আইআরসিটিসি। তার পরও কেন শতাব্দী এক্সপ্রেসে পচা কাঁচামাল দিয়ে খাবার বানানো হচ্ছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.