সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজভ্যালি কাণ্ডে অবশেষে জামিন পেলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা তাপস পাল। ১ কোটি টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল ওড়িশার কটক আদালত। আদালতের সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি তাপস ও তাঁর পরিবার। ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বরে রোজভ্যালি কাণ্ডে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে গ্রেপ্তার করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীন গুরুত্ব অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। বন্দি জীবনের বেশিরভাগটাই কেটেছে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে।
[গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তাপস পাল]
অভিনয় ছেড়ে রাজনীতির জগতে পা রেখেছিলেন একসময়ে ডাকসাইটের অভিনেতা তাপস পাল। তৃণমূল কংগ্রেসে টিকিটে বউবাজার ও আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২ বার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তাপসকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালেও একই কেন্দ্র থেকে ফের জয়ী হন। কিন্তু, ২০১৬ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে নাম জড়ায় তাপস পালেরও। ওই বছরের গ্রেপ্তার হন বাংলা ছবির একদা জনপ্রিয় নায়ক। তাঁকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যায় সিবিআই। প্রায় একই সময়ে রোজভ্যালি কাণ্ডে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভুবনেশ্বরে। কিন্তু, কয়েক মাস পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পেলেও, ভুবনেশ্বরে বন্দি জীবন কাটাচ্ছিলেন তাপস পাস। বেশ কয়েকবার তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত।
[এবার সাগরেও অপ্রতিরোধ্য ভারত, সেনার ভাঁড়ারে স্করপেন সাবমেরিন ‘আইএনএস করঞ্জ’]
ক্রমশই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সাংসদ তাপস পাল ও তাঁর পরিবারের দূরত্ব বাড়ছিল। শোনা যাচ্ছিল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিনে মুক্ত করাতে শাসকদল যতটা সক্রিয় ছিল, তাপস পালের বেলায় ততটা সক্রিয়তা দেখা যায়নি। এদিকে, সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস। তাঁর হার্টে ব্লকেজ ও স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দেয়। মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভরতি তরা হয় তাপস পালকে। বন্দি জীবনের বেশিরভাগই হাসপাতালেই কেটেছে তাঁর। অবশেষে গ্রেপ্তারির দেড় বছর পর জামিন পেলেন তাপস। বৃহস্পতিবার ১ কোটি টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে কটক আদালত।
[অমানবিক! শিশপুত্রকে দড়িতে বেঁধে, মেয়েকে মেঝেতে ফেলে নির্দয় মার বাবার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.