সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশের ভিতর তৈরি হওয়া বির্তকে ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বললেন, রোহিঙ্গারা ‘রিফিউজি’ নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী। মায়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এতএব এই বিষয়ে আর বিতর্ক তৈরি করার কোনও দরকার নেই। রাজনাথের মন্তব্যের নিশানা যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির দিকে, সে কথা বুঝতে অসুবিধা হয় না। কারণ, বেশ কিছু সংগঠন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়।
Myanmar se Bharat ghus aaye ye #Rohingya refugee nahi hain iss sachchai ko hume samajhna chahiye: Home Minister Rajnath Singh pic.twitter.com/O9s37ltQje
— ANI (@ANI) September 21, 2017
কয়েকদিন আগেই মায়ানমারের প্রশাসনিক প্রধান সু কি বার্তা দেন, ভেরিফিকেশনের পর নাইপিদাও রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরে আসায় কোনও বাধা নেই। কেন্দ্রও সুপ্রিম কোর্টকে স্পষ্ট জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ভারতে থাকতে দেওয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কাছে বিপজ্জনক। বক্তব্যের স্বপক্ষে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টকে ঢাল করে কেন্দ্র জানায়, পাক জঙ্গি সংগঠন ও আইএসআই চক্রের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। তবে কেন্দ্র একথাও বলেছে, রোহিঙ্গাদের জলে ফেলে দেওয়া হবে না বা গুলি করে হত্যা করাও হবে না। কিন্তু এদেশে তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
Human rights ka hawala de kar illegal immigrants ko refugee batane ki galti nahi ki jaani chahiye: Home Minister Rajnath Singh #Rohingyas pic.twitter.com/YhuP1NebRo
— ANI (@ANI) September 21, 2017
রাজনাথ এদিন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু নয়, তাদের শরণার্থী হিসাবেও পাঠানো হচ্ছে না। তারা বেআইনি অভিবাসী।’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন রাজনাথ। তাঁর সংযোজন, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেনি ভারত। একই কথা এর আগে বলেছিলেন কিরেণ রিজিজুও। তিনিও বলেছিলেন, আইন মেনেই প্রায় ৪ লক্ষ রোহিঙ্গাকে ভারত ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। রাজনাথের বক্তব্য, ‘মায়ানমার থেকে ভারতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা রিফিউজি নয়। উদ্বাস্তু তকমা পেতে এক নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু যারা পালিয়ে এসেছে, তারা কোনও প্রক্রিয়াই মানেনি।’ এখানেই না থেমে রাজনাথ আরও যোগ করেন, ‘মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে বেআইনি অভিবাসীদের রিফিউজি তকমা দেওয়া যায় না।’ রাষ্ট্রসংঘের একটি সূত্রের খবর, মায়ানমার সেনা বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ায় সেখান থেকে অন্তত ৪ লক্ষ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে।
Principle of non-refoulement applies on those who have taken asylum in India. No #Rohingya has applied for asylum in India till today: HM pic.twitter.com/Pn7yZx7DSF
— ANI (@ANI) September 21, 2017
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.