সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতির এই যুগে সময়ের বড়ই অভাব। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে সবকাজ সুষ্ঠুভাবে সারতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় মানুষকে। কাজের ভার কমাতে বহুকাল থেকেই মানুষের সঙ্গী রোবট। অফিস বা বাড়ির কাজ ছেড়েই দিন, যৌনসঙ্গী হিসেবেও রোবটের চাহিদা বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। আর এবার ভারতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় প্রবেশ করল এই যন্ত্রমানব। তথ্য-প্রযুক্তি তালুক হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরুতে কানাড়া ব্যাঙ্কের দুটি শাখায় কাস্টমার কেয়ার বিভাগে কাজ করছে মিত্রা ও ক্যান্ডি নামে দুই মানব রোবট।
[এবার গুগল ডুডলে শ্রদ্ধা বাঙালি মহিলা বিজ্ঞানীকে]
মিত্রা নামে ওই রোবটটি তৈরি করেছে বেঙ্গালুরুরই ইনভেন্টো রোবটিক্স নামে এক সংস্থা। গত মে মাসে শহরের জে সি রোডে কানাড়া ব্যাঙ্কে সদর দপ্তরে রোবটটি বসানো হয়। কী কাজ করে রোবট মিত্রা? কানাড়া ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের সদর দপ্তরে আসেন বহু মানুষ। রিসেপসনিস্টের মতোই গ্রাহকদের কন্নড় ভাষায় সম্ভাষণ করে রোবট মিত্রা। তারপর তাদের প্রয়োজন বা সমস্যার কথা জেনে, নির্দিষ্ট বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেয় সে। তবে কানাড়া ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক জানিয়েছে, ওই রোবটকে আরও আপগ্রেড করা হচ্ছে। তাই এখন ছুটিতে আছে সে।
[মুম্বই এসেছিল দাউদের স্ত্রী, চাঞ্চল্যকর দাবি কাসকারের]
মিত্রার থেকে আকারে কিছুটা ছোট রোবট ক্যান্ডি। গত জুলাই মাসে বেঙ্গালুরু এম জি রোডে কানাড়া ব্যাঙ্কের সার্কেল অফিসে বসানো হয় এই রোবটটিকে। কানাড়া ব্যাঙ্কের সার্কেল অফিসের কর্মী শ্বেতা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কিং ও স্বাভাবিক মোডে কাজ করতে পারে ক্যান্ডি। নর্ম্যাল মোডে থাকলে, গ্রাহকদের অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারে ক্যান্ডি। তবে ব্যাঙ্কিং মোডে থাকলে এই যন্ত্রমানবের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ২১৫টি প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়। তবে ব্যাঙ্কের এই নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে এখনও পুরোপুরি সড়গড় হয়ে উঠতে পারেননি গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের এক কর্মী জানিয়েছেন, মানব রোবট থাকলেও, হেল্প ডেস্কে থাকা কর্মীদের কাছেই সাহায্য চাইছেন অনেকেই।
[এবার বেনামি সম্পত্তির হদিশ দিলেই মিলবে এক কোটি টাকা!]
বেঙ্গালুরুতে কানাড়া ব্যাঙ্কের সার্কেল অফিসের মার্কেটিং ম্যানেজার সতীশ কুমার জানিয়েছেন, আগামী দিনে বেঙ্গালুরু শহরে কানাড়া ব্যাঙ্কের ‘ডিজিটাল ব্রাঞ্চ’ তৈরি করতে চাইছেন তারা। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবেই ব্যাঙ্কে মানব রোবট বসানো হয়েছে।
[১ বছরের সন্তানকে নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলে দিল মদ্যপ বাবা!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.